পনেরো মাসের সন্তানকে খুনের পর প্লাস্টিকের বাক্সে ভরে ঘরের মধ্যেই তিন বছর লুকিয়ে রেখে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে। শুক্রবার শিশুটির দেহাংশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাটি দক্ষিণ কোরিয়ার গিয়োঙ্গি প্রদেশের।
কোরিয়া হেরল্ড-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিশুটিকে অনেক দিন ধরেই দেখতে পাচ্ছিলেন না প্রতিবেশীরা। মহিলাকে তাঁরা জিজ্ঞাসা করায়, তিনি জানিয়েছিলেন যে, সন্তানকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিন বছর কেটে গেলেও এক বারের জন্য শিশুটিকে বাড়ি ফিরতে না দেখায়, প্রতিবেশীদের সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। তখন তাঁরা পুলিশে খবর দেন।
পুলিশের কাছেও মহিলা দাবি করেন, সন্তানকে দূরের একটি স্কুলে ভর্তি করানো হয়েছে। সেই ঠিকানা জোগাড় করে পুলিশ সংশ্লিষ্ট স্কুলে যায়। কিন্তু তারা দেখে যে, মহিলা যা দাবি করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এর পরই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলা প্রথমে কিছুতেই স্বীকার করতে চাইছিলেন না যে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। তাঁকে চেপে ধরায় সত্যিটা স্বীকার করেন। পুলিশ জানতে পেরেছে, মহিলার স্বামী কোনও একটি অপরাধের জন্য জেলে ছিলেন। কন্যসন্তানকে নিয়ে একাই থাকতেন তিনি। বছর তিনেক আগে স্বামী জেলে থেকে ছাড়া পান। সেই সময়ই শিশুটিকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রমাণ লোপাটের জন্য ওই দম্পতি সন্তানের দেহ ৩৫ সেন্টিমিটার দীর্ঘ, ২৪ সেন্টিমিটার চওড়া এবং ১৭ সেন্টিমিটার উচ্চতাবিশিষ্ট প্লাস্টিকের বাক্সে ভরে চিলেকোঠায় রেখে দেন। সেখান থেকেই শিশুর দেহাংশ উদ্ধার করে অটোপসির জন্য পাঠিয়ে দেয় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে শিশুটির বাবা-মাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy