অভিযুক্ত আইরিস হার্নান্দেজ রিভাস। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।
দাঁত মাজতে ভাল লাগত না তার। কিন্তু, মা নাছোড়বান্দা। তাই ‘বিরক্তিকর’ কাজটা করতেই হত চার বছরের নোহলেকে। তাতে যদিও তার ঘ্যান ঘ্যান একটুও কমেনি। রোজ সকাল-রাতে মায়ের বকুনির ভয়েই তাকে দাঁত মাজতে হত। কিন্তু, সেই দাঁত না মাজার কারণেই মৃত্যু হল ছোট্ট মেয়েটির।
কী হয়েছিল?
সে দিন দাঁত মাজতে না চাওয়ায় মা তার পেটে কষিয়ে দিয়েছিল লাথি। ছিটকে পড়ে গিয়েছিল ছোট্ট নোহলে। মাথার পিছন ঠুকে গিয়েছিল দেওয়ালে। তার পর দাঁত মেজে সে স্নান করতে ঢোকে বাথরুমে। মিনিট ১৫ কেটে যাওয়ার পরেও মেয়েকে না বেরোতে দেখে দরজা খুলে বাথরুমে ঢুকে পড়েন তার মা। গিয়ে দেখেন মেয়ে মেঝেতে পড়ে রয়েছে। কোনও সাড়াশব্দ নেই। ভয় পেয়ে যান তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েকে অচেতন দেখে নিজেই পুলিশকে ফোন করেন ২০ বছরের আইরিস হার্নান্দেজ রিভাস। জানান, তাঁর মেয়ে নোহলে মিনিট পনেরো আগে স্নান করতে বাথরুমে ঢুকেছিল। ভিতর থেকে কোনও সাড়া-শব্দ না মেলায় তিনি বাথরুমে ঢোকেন। দেখেন, অচৈতন্য অবস্থায় বাথটবের মধ্যে পড়ে রয়েছে সে। পুলিশ এসে সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ছোট্ট নোহলের শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে, চিকিৎসকরা তাকে বাঁচাতে পারেননি। হাসপাতালে নিয়ে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের এই ঘটনায় মা হার্নান্দেজ রিভাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: উদয়নই দেখিয়ে দিল জায়গাটা! মাটি খুঁড়তেই বেরোল বাবা-মার কঙ্কাল
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন দেখা মিলেছে। এর পরেই মাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। জেরার মুখে হার্নান্দেজ স্বীকার করেন, মেয়ে কিছুতেই দাঁত মাজতে চাইত না। তাই রেগে গিয়ে তিনি মেয়ের পেটে লাথি মারেন। কিন্তু, তার যে এমন ভয়ানক পরিণতি হবে তা তিনি বুঝতে পারেননি। পুলিশ যদিও জানিয়েছ, এই প্রথম নয় এর আগেও বহু বার হার্নান্দেজ মেয়েকে বেল্ট দিয়ে মেরেছেন। আর পুরনো সেই সব চিহ্নও শিশুটির দেহে স্পষ্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy