Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪

লিবিয়ায় সংঘর্ষে নিহত ২২, তালিকায় এক ভারতীয়ও

দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর এলাকা দখলের লড়াইয়ে রণক্ষেত্র লিবিয়া। ত্রিপোলি বিমানবন্দরে এই ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২২ জন। আহত অন্তত ৭২। নিহতের তালিকায় এক জন ভারতীয়ও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গত কালের এই ঘটনার কথা আজই বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে লিবিয়ার অন্তর্বর্তী সরকার। নিহতের সংখ্যা গত কয়েক সপ্তাহে ২০০ ছাড়িয়েছে।

সংবাদ সংস্থা
ত্রিপোলি শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৪ ০২:৩৬
Share: Save:

দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর এলাকা দখলের লড়াইয়ে রণক্ষেত্র লিবিয়া। ত্রিপোলি বিমানবন্দরে এই ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২২ জন। আহত অন্তত ৭২। নিহতের তালিকায় এক জন ভারতীয়ও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গত কালের এই ঘটনার কথা আজই বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে লিবিয়ার অন্তর্বর্তী সরকার। নিহতের সংখ্যা গত কয়েক সপ্তাহে ২০০ ছাড়িয়েছে। ঘটনাচক্রে এই দিনই দেশের নতুন নির্বাচিত পার্লামেন্টের সদস্যরা তাঁদের প্রথম অধিবেশনে সামিল হন।

রাজধানী ত্রিপোলির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দখলকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই বিবদমান মিসরাতা এবং জিনতান শহরের দুই সশস্ত্র গোষ্ঠী। জুলাইয়ের মাঝামাঝি এই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষেই রকেট হামলার জেরে ধ্বংস হয়েছিল বিমানবন্দরের প্রায় ৯০ শতাংশ বিমান। সূত্রের খবর, গদ্দাফি সরকারের পতনের পরই ত্রিপোলির এই বিমানবন্দরের দখল নেয় জিনতান গোষ্ঠী। অন্য দিকে, জিনতানের থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতেই ধারাবাহিক ভাবে আক্রমণ চালিয়ে আসছে মিসরাতা গোষ্ঠী।

বস্তুত ২০১১-য় গদ্দাফি সরকারের পতনের পরেও শান্তি ফেরেনি লিবিয়ায়। দেশের নানা ভাগে নানা গোষ্ঠী নিজেদের আধিপত্য কায়েম রাখতে সচেষ্ট আজও। এদের একটা বড় অংশই গদ্দাফির বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। যুদ্ধ শেষ হলেও তারা কেউ অস্ত্র সমর্পণ করেনি বলে অভিযোগ। বরং এলাকার আধিপত্য এবং সম্পত্তি দখল নিয়েই এরা মেতে ওঠে গোষ্ঠী সংঘর্ষে। এ নিয়ে লিবিয়ার ‘দুর্বল’ সরকারের বিরুদ্ধে ত্রিপোলির স্থানীয় বাসিন্দারা বহু দিন ধরেই অভিযোগের আঙুল তুলছেন। কিছু গোষ্ঠীর সদস্যরা এমনকী সরকারের থেকে নিয়মিত বেতন পায় বলেও সূত্রের খবর।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE