চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং ও আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি। ফাইল চিত্র
আফগানিস্তানের মাটিতে বসে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালানোর মতো অভিযোগ উঠলেও, ১০ চিনা নাগরিককে ‘ক্ষমা’ করে দিল আফগানিস্তান সরকার। গত বছর ডিসেম্বর মাসের শেষ লগ্নে ওই ১০ চিনা নাগরিককে দেশেও ফেরত পাঠিয়েছে কাবুল। এমনটাই খবর বিভিন্ন সূত্রে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানের ন্যাশনাল ডিরেক্টরেট অব সিকিউরিটি (এনডিএস) ওই চিনা নাগরিকদের আটক করেছিল। কাবুলের দৃঢ় ধারণা, ওই চিনা নাগরিকরা বেজিংয়ের গুপ্তচর। তাঁদের মধ্যে অন্তত এক জন মহিলাও ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। নাগরিকদের সঙ্গে চিনের মিনিস্ট্রি অব স্টেট সিকিউরিটির ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বলেও আফগান প্রশাসনের সন্দেহ। তাদের এই শর্তে ক্ষমা করা হয়েছে যে, গুপ্তচর নিয়োগ করার জন্য চিন ক্ষমা প্রার্থনা করবে।
অভিযোগ উঠেছে, ধৃত চিনা ‘গুপ্তচর’দের দুই সদস্যের সঙ্গে হাক্কানি নেটওয়ার্কের যোগাযোগ ছিল। শ্যা হুং নামে এক চিনা নাগরিক কাবুলের শিরপুরে রেস্তোরাঁ চালাত। কাবুলের কাছে কার্ট-ই-চার এলাকায় আর এক চিনা নাগরিক লি ইয়াংইয়াংয়ের আস্তানা থেকে অস্ত্র, বিস্ফোরক এবং মাদক উদ্ধার করেছে কাবুল পুলিশ। আফগান প্রশাসনের মতে, চিনা নাগরিকদের ওই গোষ্ঠীটি ইস্ট তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট নামে একটি ভুয়ো সংগঠন খুলে গুপ্তচরবৃত্তি চালিয়ে যাচ্ছিল।
আরও পড়ুন: চুক্তি ভিত্তিক কৃষিতে আগ্রহী নই, কৃষক বিক্ষোভের মাঝে সাফাই রিলায়্যান্সের
আরও পড়ুন: খোলা বাজারে বিক্রির জন্য মার্চ মাসে আসতে পারে করোনা টিকা, জানালেন সিরাম সিইও
আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ চিনা দূত ওয়াং ইউ-কে শর্ত দেন, যদি চিন ওই কাণ্ডে ক্ষমা প্রার্থনা করে তবে ওই ১০ নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হবে। আরও শর্ত দেওয়া হয়, চিন আন্তর্জাতিক নিয়ম ভঙ্গ করেছে এবং কাবুলের বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে তা মেনে নিতে। এ নিয়ে চিন অবশ্য প্রকাশ্যে কোনও বিবৃতি দেয়নি। তবে ওই ঘটনার যে সত্যতা সম্পর্কে জানিয়েছে একাধিক সংবাদ মাধ্যম এবং বিভিন্ন সূত্র।
চিনা ওই ‘মডিউল’-এর সদস্যদের ২৩ দিন আটক করে রাখা হয়েছিল। গত ২৫ ডিসেম্বর তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। চিনের পাঠানো বিশেষ বিমান তাঁরা বেজিংয়ে পৌঁছন। সম্প্রতি সেই খবর প্রকাশ্যে আসায় আন্তর্জাতিক মহলে মুখ পুড়েছে চিনের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy