একটি সেলুনে বোমা রাখার অভিযোগে তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ সদস্য কাইজার আহমেদের গাড়ির চালক-সহ চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। জেলার রাজনীতিতে সদ্য সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের প্রধান প্রতিপক্ষ বলে পরিচিত কাইজার। ফলে, ওই সেলুন মালিক আরাবুলের ঘনিষ্ঠ কি না এবং সেই কারণেই তাঁর দোকানে বোমা রাখা হয়েছিল কি না, এলাকায় সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম কুতুবুদ্দিন মোল্লা ওরফে নান্টু, নাজিম আলি, সিরাজ আলি এবং লালবাবু মোল্লা। প্রত্যেকেই ভাঙড়ের বাসিন্দা। বুধবার রাতে তাদের গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, জেরায় তারা অপরাধ কবুল করেছে। বৃহস্পতিবার বারুইপুর আদালতে তোলা হলে তাদের ১৪ দিন জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, কুতুবুদ্দিন কাইজারের গাড়ির চালক। যদিও কাইজার তা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “ও আমার গাড়ির চালক নয়। আমার বদনাম করতে এই সব মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে।” কেন রাখা হল বোমা? পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বেশ কিছু দিন ধরেই স্থানীয় বাগানাইত গ্রামের একটি জমি নিয়ে কুতুবুদ্দিনের সঙ্গে ভাঙড় কলেজ রোডের একটি সেলুনের মালিক খোদা বক্স মোল্লার বিবাদ চলছিল। কয়েক দিন আগে কুতুবুদ্দিন ওই জমিতে জোর করে ইন্দিরা আবাস যোজনার ঘর বানাতে চায় বলে অভিযোগ। খোদা বক্স শুধু বাধাই দেননি, তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও জানান। এর পরে কুতুবুদ্দিন তাঁকে ফাঁসানোর ছক কষে বলে খোদা বক্সের অভিযোগ।
পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা কবুল করেছে যে, বুধবার কুতুবুদ্দিন তিন সঙ্গীকে নিয়ে ঘটকপুকুরের একটি পেট্রোল পাম্পের পেছনে বসে বোমা বেঁধে খোদা বক্সের সেলুনে রেখে আসে। পরে পুলিশের কাছে তারাই লোক মারফত খবর পাঠায়। সেই সময়ে খোদা বক্স সেলুনে ছিলেন না। ছিলেন কার্তিক প্রামাণিক নামে এক কর্মচারী। পুলিশ গিয়ে সেলুন থেকে দু’টি বোমা-সহ তাঁকে ধরে নিয়ে আসে। জেরায় পুলিশকে তিনি জানান, তাঁকে ভয় দেখিয়ে, হুমকি দিয়ে কুতুবুদ্দিনেরা বোমা রেখে গিয়েছে। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতেই রাতে ভাঙড় থানার পুলিশ চার জনকে ধরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy