লগ্নি সংস্থার এজেন্টদের অবস্থান
পুনরায় শ্যামল সেন কমিশন চালু করা, অর্থলগ্নি সংস্থার মালিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া-সহ বেশ কিছু দাবিতে সোমবার মেদিনীপুরে বিক্ষোভ কর্মসূচি করল ‘অল বেঙ্গল ফিনান্সিয়াল এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন’ নামে বিভিন্ন অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্টদের এক সংগঠন। জেলাশাসকের দফতরের সামনে কালেক্টরেট মোড়ে এই কর্মসূচি হয়। অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সভাপতি সৌমেন সামন্ত বলেন, “নির্দিষ্ট কয়েকটি দাবিতে এই কর্মসূচি। দাবিগুলো লিখিত ভাবে পুলিশ-প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।”
আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ারও দাবি জানিয়েছে ওই সংগঠন। বস্তুত, সারদা কাণ্ডের ঘটনায় রাজ্য জুড়েই শোরগোল পড়ে। ওই সংস্থায় অর্থ লগ্নি করে প্রচুর মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন। পরিস্থিতি অন্য দিকে মোড় নিচ্ছে বুঝতে পেরে কমিশন গঠন করে রাজ্য সরকার। কমিশনের চেয়ারম্যান হন বিচারপতি শ্যামল সেন। পরবর্তী সময় একটি তহবিল তৈরির কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, সারদায় ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা ফিরিয়ে দিতে ৫০০ কোটি টাকার তহবিল তৈরি করবে সরকার। সেই মতো তহবিল তৈরিও করা হয়। ঘোষণা মতো সারদা কাণ্ডে ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে অর্থ দফতর।
এরপরই সারদা বাদে অন্য অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্ট এবং আমানতকারীরা জোটবদ্ধ হতে শুরু করেন। জেলায় জেলায় সংগঠন গড়ে ওঠে। পশ্চিম মেদিনীপুরেও গড়ে ওঠে ‘অল বেঙ্গল ফিনান্সিয়াল এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন’ নামে এই সংগঠন। সোমবার এই সংগঠনের উদ্যোগেই মেদিনীপুরে বিক্ষোভ-স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি হয়। গত মাসে অ্যাসোসিয়েশনের এক কনভেনশনও হয়েছিল শহরে। সংগঠনের নেতৃত্বের বক্তব্য, ইতিমধ্যে অনেকে আত্মহত্যা করেছেন। হাজার হাজার এজেন্ট- আমানতকারী সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। একজন অপরাধ করবে আর সবাই সাজা ভোগ করবে, এটা হতে পারে না। শুধু সারদা নয়, রাজ্য সরকার অন্য সংস্থার আমানতকারীদেরও টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করুক। পাশাপাশি এজেন্টদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করুক। সংগঠনের জেলা সভাপতি সৌমেনবাবু বলেন, “অনেক এলাকায় এজেন্টদের হেনস্তা করা হচ্ছে। আমরা তাই এজেন্টদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছি। শ্যামল সেন কমিশন চালু করা, আমানতকারীদের টাকা ফেরত, অর্থলগ্নি সংস্থার মালিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া সহ নির্দিষ্ট কিছু দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলবে।” এ দিন কর্মসূচি চলাকালীন কালেক্টরেটের মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রচুর পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছিল। অবশ্য ওই কর্মসূচি ঘিরে কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy