Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪

ফি বৃদ্ধির আগেই বিরোধিতায় শঙ্কুরা

রেজিস্ট্রেশন ফি কত হবে, সেই ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। তার আগেই ফি বৃদ্ধির বিরোধিতায় নেমে পড়ল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। ছাত্র ভর্তি, শিক্ষামেলার নামে দেদার আর্থিক লেনদেনে অভিযুক্ত টিএমসিপি রেজিস্ট্রেশন ফি বৃদ্ধির মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাচ্ছে কেন, সেই প্রশ্ন উঠছে শিক্ষামহলে। এ ক্ষেত্রেও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকারে হস্তক্ষেপে অভিযোগের তির সংগঠনের রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডার বিরুদ্ধে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৪ ০৩:৫৪
Share: Save:

রেজিস্ট্রেশন ফি কত হবে, সেই ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। তার আগেই ফি বৃদ্ধির বিরোধিতায় নেমে পড়ল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। ছাত্র ভর্তি, শিক্ষামেলার নামে দেদার আর্থিক লেনদেনে অভিযুক্ত টিএমসিপি রেজিস্ট্রেশন ফি বৃদ্ধির মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাচ্ছে কেন, সেই প্রশ্ন উঠছে শিক্ষামহলে। এ ক্ষেত্রেও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকারে হস্তক্ষেপে অভিযোগের তির সংগঠনের রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডার বিরুদ্ধে।

কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইনে ভর্তির জন্য বিশ্ববিদ্যায়ের রেজিস্ট্রেশন ফি ১০০ থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ওই ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ফি বাড়ালেও ৫০০ টাকা করা হবে না বলে ঠিক হয়েছে। উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানান, ফি কত হবে, আজ, বুধবার সিন্ডিকেটে সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা। তার আগে, মঙ্গলবারেই বিধানসভায় গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে টিএমসিপি জানায়, ফি অত বাড়ানো যাবে না।

টিএমসিপি-র এই আবেদন বা দাবিকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠেছে: • ফি কত হবে, সেই সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষের নেওয়ার কথা। টিএমসিপি এতে নাক গলাবে কেন? • যাঁরা উচ্চশিক্ষায় আসছেন, তাঁদের অনেকেই স্কুলে পড়েন তিন-চার হাজার মাসিক ফি দিয়ে। তা হলে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে ফি বাড়ালেই এই বিরোধিতা কেন? • ফি-এর ক্ষেত্রে গরিব ছাত্রছাত্রীদের ছাড় দেওয়াই হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর। তা সত্ত্বেও শঙ্কুদেবের এ-হেন আবদারের কারণ কী?

রাজ্য সভাপতি বলেন, “এই নিয়ে কোনও কথা বলব না।” শিক্ষামন্ত্রীও এই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের খবর, রেজিস্ট্রেশনের কাজের জন্য বর্ধিত ফি দরকার। অতিরিক্ত অর্থ পরিকাঠামো বাড়ানোর কাজেও লাগানো সম্ভব। তাই যাঁদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব, সেই ছাত্রছাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন ফি বাড়ানো হবে না কেন, সেই প্রশ্ন উঠছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরেই। উপাচার্য অবশ্য বলেন, “আমরা ছাত্রছাত্রীদের উপরে বোঝা চাপাতে চাই না।”

ডিএসও, এসএফআই-ও ফি বৃদ্ধির বিরোধিতা করছে। এ দিন কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে মিছিল করে ডিএসও। উপাচার্যের ঘরে চেঁচামেচিও করে বলে অভিযোগ। ডিএসও-র রাজ্য সম্পাদক অংশুমান রায় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “শিক্ষা পণ্য হতে পারে না। পড়াশোনার দায়িত্ব নিতে হবে সরকারকে।”

অন্য বিষয়গুলি:

shankudeb panda tmcp registration fee
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE