স্নাতক স্তরে ছাত্র ভর্তিতে কেন্দ্রীয় অনলাইন ব্যবস্থা তুলে দিতে হয়েছে চাপের মুখে। এ বার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-এর চাপে রেজিস্ট্রেশন ফি বাড়ানোর পথেও হাঁটতে পারল না বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। রাজ্য সরকার এ ক্ষেত্রেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে চিঠি লিখে জানিয়ে দিয়েছে, বরাবরের মতো ১০০ টাকা ফি নিতে হবে।
ফি বাড়ানো দূরের কথা, উল্টে সংরক্ষিত শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য তা কমিয়ে দিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষাক্ষেত্রে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে টিএমসিপি এবং তাদের রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডার এই হস্তক্ষেপ কেন বরদাস্ত করা হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বুধবার জানিয়েছেন, এই বিষয়ে যা বলার, তা তিনি বলবেন আজ, বৃহস্পতিবার।
কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইনে ছাত্র ভর্তির জন্য ১০০ টাকার বদলে রেজিস্ট্রেশন ফি ৫০০ টাকা করার সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। ওই পদ্ধতি বাতিল হয়ে যাওয়ায় ফি-ও কমানোর সিদ্ধান্ত হয়। তবে তা সামান্য বাড়ানোর কথা ভেবেছিলেন কর্তৃপক্ষ। বুধবারের সিন্ডিকেটের বৈঠকে ফি-এর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল। ১২ বছর বাদে রেজিস্ট্রেশন ফি বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু মঙ্গলবারেই ফি বৃদ্ধির বিরোধিতা করে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন শঙ্কুদেব। ছাত্র সংগঠন কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে। রাজ্যের অন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ও ফি বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছিল। টিএমসিপি-র অতি-সক্রিয়তায় তারাও ক্ষুব্ধ।
কিন্তু সরকারের চিঠি পাওয়ার পরে ফি বাড়ানোর পথে আর হাঁটার সাহস দেখায়নি কলকাতা। তবে সরকার বা টিএমসিপি-র চাপে তাঁরা কোনও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মানতে রাজি নন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। বুধবার তিনি বলেন, “অনলাইনে ভর্তির বন্দোবস্ত বাতিল হয়ে যাওয়ায় রেজিস্ট্রেশন ফি ৫০০ টাকা করা হবে না বলে স্থির হয়। ফি কত হবে, সেই বিষয়ে বুধবার সিন্ডিকেটেই সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিল।” তিনি জানান, সিন্ডিকেটে সর্বসম্মত ভাবে স্থির হয়েছে, সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে বরাবরের মতো ১০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি, উপজাতি, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি এবং দারিদ্রসীমার নীচে থাকা পড়ুয়াদের কাছ থেকে ২৫ টাকা ফি নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy