বক্তব্য রাখছেন শুভেন্দু অধিকারী। করপল্লিতে তোলা নিজস্ব চিত্র।
২০০৭ সালে নন্দীগ্রামে জমি রক্ষা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার অধিকাংশই প্রত্যাহার হয়েছে বলে জানালেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। আন্দোলনকারীদের উপর সিপিএমের সশস্ত্রবাহিনীর হামলায় নিহতদের স্মরণে সোমবার নন্দীগ্রামের করপল্লিতে আয়োজিত সভায় এসেছিলেন শুভেন্দুবাবু। সেখানে তিনি বলেন, “মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী কথা রেখেছেন। নন্দীগ্রামে আন্দোলন পর্বে এখানকার ৩০৭টি মামলার মধ্যে ২৯১ টি মামলা রাজ্য সরকারের সুপারিশক্রমে প্রত্যাহার হয়েছে। আশা করি বাকি ১৬ টি মামলা পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার হবে।”
পাশাপাশি, শহিদ স্মরণ সভায় এসেও দলের গোষ্ঠীকোন্দল ঠেকানোর বার্তা গিয়ে গেলেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, “আন্দোলনের জোরেই আমরা কেউ বিধায়ক, কেউ সাংসদ হয়েছি। আমাদের কারোর আচরণে কেউ হয়তো ব্যক্তিগতভাবে আহত হয়েছেন। কিন্তু আমরা যেন নিজেদের মধ্যে বিভেদ বা দলাদলি না করি। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে এলাকার উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে হবে।”
রাজ্য জুড়ে বারবার প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের ছবি। সম্প্রতি কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী চণ্ডীপুরে দলের একাংশের বিরুদ্ধে তোলাবাজি, দুর্নীতির অভিযোগ আনেন। শিশির-বিরোধী বলে পরিচিত জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি অখিল গিরি পাল্টা অভিযোগ করেন, ‘শিশিরবাবুই দুর্নীতিগ্রস্ত।’ ঘটনার পর দুই নেতাকেই সতর্ক করেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে এ দিন শুভেন্দুর গলাতেও শোনা গেল গোষ্ঠীকোন্দল ঠেকানোর সুর।
সিপিএমের ‘নন্দীগ্রাম পুনর্দখল’ অভিযানের সাত বছর পূর্ণ হল সোমবার।
২০০৭ সালের ১০ নভেম্বরের ওই ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে
এ দিন শহিদ স্মরণ হয় নন্দীগ্রামের করপল্লিতে। —নিজস্ব চিত্র
এই অনুষ্ঠানে শুভেন্দুবাবু বলেন, “নন্দীগ্রামে জমিরক্ষা আন্দোলনের সময় যে সব ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণ পাননি, তাদেঁর জন্য হাইকোর্টে আবেদন করার কথাও জানান তিনি। আন্দোলনের স্মরণে এ দিন শুভেন্দুবাবু বলেন, “২০০৭ সালে আন্দোলনের সময়ের আবেগ হয়তো কিছুটা স্তিমিত হয়েছে। কিন্তু আন্দোলনের শহিদদের ও ওই দিনগুলির কথা ভুলতে পারি না।” শুভেন্দুবাবুর পাশাপাশি এ দিন বক্তব্য রাখেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক ফিরোজা বিবি, খেজুরির বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডল, জেলা সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডল, এসইউসি জেলা সম্পাদক দিলীপ মাইতি, জমিয়তে উলেমা হিন্দ নেতা সেখ সামাদ। হাজির ছিলেন, নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান, আবু তাহের, এসইউসি নেতা নন্দ পাত্র প্রমুখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy