আগে থেকেই লিখিত অনুমতি নেওয়া ছিল। তা-ও বৈঠক করা তো দূরের কথা, পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন (ওয়েবকুটা) রবিবার সুরেন্দ্রনাথ কলেজে ঢুকতেই পারল না। ওই সংগঠনের সদস্যদের সাধারণ সভার বৈঠক করতে না-দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সুরেন্দ্রনাথের কর্তৃপক্ষ ও এক দল কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তাঁরা তৃণমূলের সমর্থক। তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠন অবশ্য অভিযোগ উড়িয়েছে। কলেজে ঢুকতে না-পেরে সংগঠনের সদস্যেরা কলেজের বাইরে রাস্তায় বসেই সাধারণ সভার বৈঠক করেন।
২০ এবং ২১ ডিসেম্বর বিরাটিতে ওয়েবকুটা-র রাজ্য সম্মেলন হওয়ার কথা। তার আগে, রবিবার সুরেন্দ্রনাথ কলেজের একটি হলে তাদের সাধারণ সভার বৈঠক ছিল। এ দিন বেলা ২টো নাগাদ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা ওই কলেজের বাইরে জড়ো হন। কিন্তু কলেজের গেটে তালা ছিল। তাঁরা ঢোকার জন্য রক্ষীকে ডাকলে এক শিক্ষাকর্মী তাঁদের বাধা দেন বলে সংগঠনের অভিযোগ। ওই শিক্ষাকর্মী জানান, কলেজে পরীক্ষা চলছে। তাই বৈঠক করা যাবে না।
ওয়েবকুটা-র সদস্যদের অভিযোগ, তাঁরা বৈঠকের অনুমতিপত্র দেখালেও ওই শিক্ষাকর্মী তাঁদের কথা শোনেননি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শ্রুতিনাথ প্রহরাজ জানান, কলেজের গেটে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা জানান, দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের পরীক্ষা চলছে। তাই বৈঠক করা যাবে না। সংগঠনের সদস্যেরা জানান, অসুবিধা না-করে অডিটোরিয়ামে চলে যাবেন তাঁরা। তা-ও কলেজের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি তাঁদের।
পরীক্ষা থেকে থাকলে অধ্যক্ষ বৈঠকের অনুমতি দিয়েছিলেন কেন?
কলেজের দিবা বিভাগের অধ্যক্ষ চিন্ময়শেখর সরকার জানান, কলেজে সর্বভারতীয় স্তরের একটি পরীক্ষা ছিল। ওয়েবকুটা-কে যে বৈঠকের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তা জানা ছিল না। কারণ, পরীক্ষাটি সুরেন্দ্রনাথের সান্ধ্য বিভাগ থেকে নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “মিটিং করা যাবে না বলে ওয়েবকুটা-কে ফোনে জানিয়েছিলাম।” শ্রুতিনাথবাবু বলেন, “অধ্যক্ষের চেয়ারে বসে অসত্য ভাষণ উচিত নয়। শনিবার ফোন করে উনি জানান, পরীক্ষা আছে। তাই হলে নয়, অডিটোরিয়ামে বৈঠক করতে হবে। আমরা রাজি ছিলাম।” শাসক দলের শিক্ষক সংগঠন (ওয়েবকুপা)-এর কৃষ্ণকলি বসু জানান, বিষয়টি তিনি জানেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy