সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে বারবার। কিন্তু সাড়া মেলেনি। এ বার কলকাতা শহরে ‘হাই সিকিওরিটি নম্বর প্লেট’ (এইচএসএনপি) জনপ্রিয় করে তুলতে সচেতনতা প্রচার শুরু করার কথা ভাবছে পরিবহণ দফতর। চলতি মাস থেকেই ওই সচেতনতা প্রচার চালু করার জন্য কোমর বাঁধছেন পরিবহণ-কর্তারা।
সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি সব রাজ্যকেই উচ্চ নিরাপত্তার নম্বর প্লেট কার্যকর করার নির্দেশ দেয়। সেই মতো এ রাজ্যেও গত নভেম্বর মাস থেকে পরিবহণ দফতর ওই নির্দেশ কার্যকর করতে ময়দানে নামে। তার পর থেকে তিন মাসে দু’বার খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। পরিবহণ দফতরের অফিসগুলি থেকে নির্দেশ গিয়েছে বাস-অটো-ট্যাক্সির মালিকদের কাছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ১০ শতাংশ গাড়িও তাতে সাড়া দেয়নি। এমনকী, ব্যক্তিগত গাড়ি-মালিকেরাও এ ব্যাপারে বিশেষ উৎসাহ দেখাচ্ছেন না। রাজ্য পরিবহণ দফতরের এক কর্তার কথায়, “এক বছরের মধ্যে রাজ্য সরকার কলকাতার সব গাড়িতে ‘এইচএসএনপি’ কার্যকর করতে চায়। কিন্তু যে ভাবে এগোচ্ছে তাতে এক বছর কেন, দশ বছরেও এই কাজ শেষ হবে না।”
পিভিডি কর্তারা আরও জানাচ্ছেন, এইচএসএনপি-র সবচেয়ে হতাশাজনক ফল দেখা গিয়েছে অটোর ক্ষেত্রে। রাজ্য সরকারের নির্দেশ ছিল, কলকাতার প্রতিটি অটোকে গত ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এইচএসএনপি বাধ্যতামূলক ভাবে লাগাতে হবে। কিন্তু তার পরে ছ’মাস কেটে গেলেও এখনও শহরের অর্ধেকের বেশি অটোয় এইচএসএনপি লাগানোই হয়নি। এর পিছনে সরকারের কৌশল ছিল এইচএসএনপি কার্যকর করার মাধ্যমে বেআইনি অটোকে শনাক্ত করা। যাতে শেষমেশ সেগুলি বন্ধ করে দেওয়া যায়। কিন্তু পরিবহণ দফতরের কর্তাদের দাবি, অটো ইউনিয়নগুলির আশ্রয়েই কলকাতা জুড়ে চলছে অবৈধ অটো। এখনকার অটো ইউনিয়নগুলির বেশির ভাগই শাসক দলের দখলে। কলকাতা পুরসভার নির্বাচনের ঠিক আগে তাই শাসক দলও এ নিয়ে বিশেষ হইচই চায় না। তাই অটো ইউনিয়নগুলির ইচ্ছেয় এখনও পর্যন্ত ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা যায়নি। একই চিত্র বাস কিংবা ট্যাক্সির ক্ষেত্রেও।
এই অবস্থায় এখন বিভিন্ন মাধ্যমের সাহায্যে জনসাধারণের মধ্যে এই উচ্চ নিরাপত্তার নম্বর প্লেটের নানা গুণগান প্রচার করতে চায় পরিবহণ দফতর। কলকাতার পরিবহণ কার্যালয় পিভিডি ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে আলোচনাও শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার কর্তারা। চলতি মাস থেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে এ সংক্রান্ত প্রচার শুরু হবে। এক পরিবহণ কর্তার কথায়, “সব মাধ্যমে প্রচার হলে বাণিজ্যিক গাড়ি না-হোক, অন্তত ব্যক্তিগত গাড়ির মালিকদের ক্ষেত্রে আমরা ভাল রকম সাড়া পাব বলে আশা করছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy