যাদবপুরের মতো তাঁদের ক্ষেত্রেও খোদ মুখ্যমন্ত্রী মুশকিল আসান হয়ে দেখা দেবেন বলে আশায় আশায় আছেন শিক্ষক পদপ্রার্থী অনশনকারীরা। এর মধ্যেই রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর তরফে আশ্বাস এসেছে, স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর মেধা-তালিকায় নাম থাকা অনশনরত কর্মপ্রার্থীদের সমস্যা নিয়ে প্রয়োজনে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলতে পারেন তিনি।
রবিবার একটি অনুষ্ঠানের পরে রাজ্যপালের কাছে জানতে চাওয়া হয়, স্কুলশিক্ষকের চাকরির দাবিতে যাঁরা খাস এসএসসি-র দফতরে অনশন-অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের ব্যাপারে তিনি হস্তক্ষেপ করবেন কি না। ত্রিপাঠী বলেন, “এই বিষয়ে কেউ আমার কাছে কোনও রকম আবেদন জানাননি। আবেদন জানানো হলে আমি বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলব।”
রাজ্যপালের এই মনোভাবের কথা জানতে পেরে এ দিন বিকেলেই রাজভবনে যান আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিরা। তবে রাজ্যপাল ত্রিপাঠী তখন রাজভবনে ছিলেন না। আজ, সোমবার তাঁরা ফের রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে দাবি সংবলিত স্মারকলিপি দেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন অনশনকারীরা।
চাকরির দাবিতে মঙ্গলবার ১৪৪ ধারা ভেঙে সল্টলেকে এসএসসি-র দফতরে ঢুকে চেয়ারম্যানের অফিসের সামনে অনশন-অবস্থানে বসে পড়েন এক দল চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের অভিযোগ, ২০১২ সালের এসএসসি পরীক্ষার চূড়ান্ত মেধা-তালিকায় নাম থাকলেও তাঁরা চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত। অথচ ওই মেধা-তালিকায় তাঁদের পরে নাম থাকা অনেক প্রার্থী নিয়োগপত্র পেয়ে গিয়েছেন। বঞ্চনার অভিযোগ তুলে গত বছরও দু’দফায় অনশন-অবস্থানে বসেছিলেন তাঁরা। কমিশনের নিয়মবিধি মেনে যে তাঁদের চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়, বারে বারেই সে-কথা জানিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু নিয়োগের দাবিতে তাঁরা অনড়। চাকরির আশ্বাস না-পাওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন বলে এ দিনও জানিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা।
দীর্ঘ আন্দোলনে রাজনীতির বিভিন্ন শিবিরের নেতানেত্রীদের পাশে পেয়েছেন পথে নামা কর্মপ্রার্থীরা। কিন্তু এখনও কোনও সুরাহা হয়নি। ইতিমধ্যে অনশনকারীদের প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়েছেন যাদবপুর এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী। এসএসসি-র দফতরে অনশনকারী প্রার্থীদের আশা, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি যে-ভাবে যাদবপুরের অনশনরত ছাত্রছাত্রীদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, একই ভাবে এ ক্ষেত্রেও আন্দোলনকারীদের বিষয়টি বিবেচনা করবেন।
তবে এ দিনও রাজ্যের শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মেধা-তালিকায় নাম থাকলেও আন্দোলনকারীদের চাকরির ব্যাপারে কোনও রকম আশ্বাস দেওয়া সম্ভব নয়। বারবার সেটা জানানো সত্ত্বেও আন্দোলনকারীরা কেন অনশন-অবস্থান করছেন, বুঝতে পারছেন না শিক্ষা দফতরের কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy