রাজ্যে ক্ষয়িষ্ণু কংগ্রেসকে চাঙ্গা করতে হলে বিকল্প সরকার গড়ার ডাক নিয়ে ময়দানে নামতে হবে বলে মনে করছেন তরুণ সম্প্রদায়ের একাংশ। কংগ্রেসের পুনরুজ্জীবনের উপায় খুঁজতে যোধপুর পার্কের সূর্য সেন ভবনে রবিবার জড়ো হয়েছিলেন ৩০ থেকে ৩৫ বছর বয়সী এক ঝাঁক তরুণ-তরুণী। তাঁদের আলোচনাতেই সাব্যস্ত হয়েছে, রাজ্যে ক্ষমতা দখলের ডাক দিতে পারেনি বলেই কংগ্রেস দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়েছে। তাই দলকে প্রাসঙ্গিক করতে বিধানচন্দ্র রায়ের অবদানকে হাতিয়ার করে বিকল্প সরকারের স্লোগান দিতে হবে। প্রতি জেলায় করতে হবে রাজনৈতিক শিক্ষণ শিবির। কংগ্রেস নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্র, দেবপ্রসাদ রায়, মায়া ঘোষ প্রমুখ তরুণদের ওই আলোচনাসভায় যোগ দেন।
পাশাপাশি, এ দিনই ভবানীপুরে দলীয় কর্মীদের নিয়ে পুরভোটের প্রস্তুতি বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী শাসক দলকে কটাক্ষ করে বলেন, “তৃণমূল বলেছিল, কলকাতাকে লন্ডন বানাবে। কিন্তু লন্ডন তো দূর অস্ত, মুম্বই বা পুনের ধারেকাছেও কলকাতা পৌঁছতে পারেনি।” তাঁর আরও অভিযোগ, “বস্তি উন্নয়ন বা প্রান্তিক মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার কাজকে তৃণমূল শাসিত কলকাতা পুরসভা গুরুত্বই দেয়নি। মেয়র বরং অনেক বেশি ব্যস্ত ছিলেন ত্রিফলা বাতি লাগাতে।”
বস্তুত, তৃণমূলও প্রান্তিক মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার গুরুত্বটা এখন ভোটের আগে বুঝতে পারছে। তাই এ দিন নৈহাটিতে দলের কর্মিসভায় তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের কাজ বেশি করে তৃণমূল স্তরের মানুষের মধ্যে পৌঁছে দিতে হবে।” পাশাপাশিই, তাঁর সতর্কবার্তা, এমন কোনও কাজ করা যাবে না, যাতে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মানহানি হয়। এ ছাড়া, মমতা ছাড়া আর কারও ছবি ব্যবহারেও (ভোটের সময় ছাড়া) নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন পার্থবাবু। এ দিন কর্মিসভায় নিজের ছবি দেখে তা-ও নামিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy