স্থগিত: নীল সাদা রঙে দেওয়াল রাঙানোর কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে ঝাড়খণ্ডের ময়ূরাক্ষী নদীর উপর মশানজোড় জলাধারে। —নিজস্ব চিত্র।
ঝাড়খণ্ডের দুমকায় ময়ূরাক্ষী নদীর উপরে থাকা মশানজোড় জলাধারের দেওয়াল রাঙানো হচ্ছিল নীল-সাদায়। তা নিয়ে ঝাড়খণ্ডে ক্ষমতাসীন বিজেপির একাংশের আপত্তিতে বুধবার থেকে মাঝপথে বন্ধ হয়েছে কাজ। এর মধ্যেই আবার জলাধারে যাওয়ার রাস্তায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দুটি ‘ওয়েলকাম বোর্ড’-এ থাকা বিশ্ব বাংলার ‘লোগো’র উপরে কে বা কারা শুক্রবার ঝাড়খণ্ড সরকার লেখে ‘স্টিকার’ সেঁটে দেয়। জোড়া ঘটনায় বেধেছে বিতর্ক।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জলাধারটি ঝাড়খণ্ডে থাকলেও কেন্দ্রীয় চুক্তি মেনে তার দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের কথায়, ‘‘ওই জলাধারে কী রং করা হবে, তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আমাদের রয়েছে। সেটাই করা হয়েছে।’’ ‘স্টিকার’ সাঁটানো নিয়েও ক্ষুব্ধ সৌমেনবাবু। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সব জানানো হয়েছে। ময়ূরাক্ষী ক্যানাল সেচের এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (বীরভূম) কিংশুক মণ্ডল জানিয়েছেন, স্টিকার সাঁটার ঘটনায় দুমকা পুলিশের কাছে কিছু অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও দুমকার বিজেপি সভাপতি নিবাস মণ্ডল বলছেন, ‘‘জলাধারের রক্ষণাবেক্ষণের নামে পুরনো লাল-সাদা রং পাল্টে দেওয়া হল কেন? রাজনৈতিক মতলবে এখানে কিছু করা যাবে না।’’ ‘লোগো’র উপরে ‘স্টিকার’ কারা সাঁটাল— সে বিষয়ে মন্তব্য করেননি ওই বিজেপি নেতা। তবে তিনি বলেন, ‘‘যে রাস্তায় ওয়েলকাম বোর্ড রয়েছে, তার সঙ্গে জলাধারের সম্পর্ক কী? তা ছাড়া, ঝাড়খণ্ডে বাংলার বোর্ড কেন থাকবে?’’ সেচমন্ত্রী সৌমেনবাবু জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে বীরভূম জেলা প্রশাসনকে দুমকা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটাতে বলা হয়েছে। সে চেষ্টা শুরুও হয়েছে বলে বীরভূম জেলা প্রশাসনের দাবি।
নদীর জল ধরে চাষে লাগাতে ১৯৫৫ সালে এই জলাধার তৈরি হয়। অনেকে একে ‘কানাডা বাঁধ’ বলেও চেনেন। জলাধারটি নিয়ন্ত্রণ করে সিউড়ির সেচ দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy