টিকিয়াপাড়া স্টেশনে লাইনের ক্ষমতা বাড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে। ওই কাজের জন্য কাল, শুক্র এবং পরশু, শনিবার হাওড়া-খড়্গপুর শাখায় ট্রেন চলাচলে ব্যাহত হবে। দক্ষিণ-পূর্ব রেল জানিয়েছে, দু’দিনে প্রায় ২৫ জোড়া লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। লোকাল এবং কিছু মেল-এক্সপ্রেস ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন সাঁতরাগাছি স্টেশন থেকে চলাচল করবে। তবে দূরপাল্লার বেশির ভাগ গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন হাওড়া স্টেশন থেকেই ছাড়া হবে।
রেলকর্তারা জানান, শুক্র ও শনিবার ছুটি থাকায় ভিড়ের চাপ কম থাকবে এবং সেই জন্যই এই কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। নিত্যযাত্রীরা অবশ্য এই বক্তব্য মানতে পারছেন না। তাঁদের বক্তব্য, স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত বন্ধ থাকলেও ট্রেনে এখন নিয়মিত ভিড়ের চাপ থাকে। তাই পরপর দু’দিন লাইন সংস্কারের কাজের জেরে যাত্রীদের বাড়তি দুর্ভোগের আশঙ্কা ষোলো আনা।
ঠিক কী কাজের জন্য যাত্রীদের হয়রানিতে ফেলা হচ্ছে?
রেলের খবর, টিকিয়াপাড়ায় লাইনে নতুন ‘রুট রিলে ইন্টারলক সিস্টেম’ চালু করা হচ্ছে। একটি লাইন থেকে অন্য লাইন বার করতে বা একটি লাইনের সঙ্গে অন্য লাইন জুড়তে এই ব্যবস্থা জরুরি। টিকিয়াপাড়ায় কি এত দিন এই ব্যবস্থা ছিল না? রেলকর্তাদের বক্তব্য, ছিল। কিন্তু সেটি অনেক পুরনো হয়ে গিয়েছে। এবং এত দিন সেই কাজটা করতে হত হাতে হাতে। এখন বসানো হচ্ছে কম্পিউটার-চালিত প্রযুক্তি। এই ব্যবস্থায় একটি লাইন দিয়েই অনেক বেশি ট্রেন চালানো যাবে।
হাওড়া থেকে টিকিয়াপাড়া পর্যন্ত এখন দু’টি লাইন রয়েছে। ওই দু’টি লাইন দিয়েই সব মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করে। ফলে একটি ট্রেন দেরি করলেই পিছনের সব ট্রেনের দেরি হয়ে যায়। এমনকী সাঁতরাগাছি কারশেড থেকে খালি রেক এনে এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়তেও দেরি হয়। রেলকর্তাদের বক্তব্য, টিকিয়াপাড়ায় নতুন প্রযুক্তি চালু হলে ট্রেন চলাচলে অনেক সুবিধা হবে। এ বারের রেল বাজেটে হাওড়া থেকে টিকিয়াপাড়া পর্যন্ত তিন নম্বর লাইন পাতার কাজ অনুমোদিত হয়েছে। ওই লাইন পাতার কাজ শেষ হয়ে গেলে ট্রেন চলাচলে আরও বেশি সুবিধা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে রেল। এই কাজের সঙ্গে টিকিয়াপাড়ার ইয়ার্ডেরও অনেক পরিবর্তন করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy