কবে কে কতটা কাজ করেছেন, বছরের শেষে কর্মী-অফিসারদের নিজের হাতেই তার হিসেব দাখিলের বন্দোবস্ত আছে অনেক সংস্থায়। তার থেকে একটু এগিয়ে রোজের রোজ কাজের খতিয়ান রাখার ব্যবস্থা করছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। তার জন্য চালু হচ্ছে ‘ওয়ার্ক ডায়েরি’।
অর্থাৎ রোজ হাজিরা দাও, কাজ করো আর দিনের দিন কাজের ফিরিস্তি লেখো ডায়েরিতে। সপ্তাহ শেষে সেই ডায়েরি দেখে সংশ্লিষ্ট অফিসারের কাজ সম্পর্কে মতামত লিখবেন দফতরের কর্তা। এ মাসেই বণ্টন সংস্থার ক্লাস-ওয়ান এবং ক্লাস-টু অফিসারদের জন্য ‘ওয়ার্ক ডায়েরি’ বা কাজের হিসেব রাখার এই নিয়ম চালু হয়ে যাচ্ছে।
এই নিয়ে শোরগোল চলছে বিদ্যুৎ ভবনে। কর্মীরা জানান, বছর দশেক আগে গড়া বণ্টন সংস্থায় তো নয়ই, বিদ্যুৎ পর্ষদের ইতিহাসেও এমন নিয়মের বালাই ছিল না। বিদ্যুৎ-মহল সূত্রের খবর, অফিসারদের জন্য ছাপানো ‘ওয়ার্ক ডায়েরি’ বিদ্যুৎ ভবনে পৌঁছেছে। সংস্থার মানবসম্পদ বিভাগের ডিরেক্টর সুজয় সরকার সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ওয়ার্ক ডায়েরির ভূমিকা বুঝিয়ে দিয়েছেন।
কোনও কাজে অফিসের বাইরে গেলে তারও সবিস্তার তথ্য লিখিত ভাবে কর্তাদের আগাম জানাতে হবে। অর্থাৎ অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার থেকে চিফ ইঞ্জিনিয়ার, জুনিয়র ম্যানেজার-সহ সংস্থার ছোট-বড় সব কর্তার দৈনিক কর্মকাণ্ড কর্তৃপক্ষের নজরে আসতে চলেছে। কার কাজের বহর কতটা, কার কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজই নেই— ডায়েরিতে জায়গা পাবে সব কিছু। সংশ্লিষ্ট অফিসারের কাজের বার্ষিক মূল্যায়ন হবে তার ভিত্তিতেই।
বণ্টন-কর্তৃপক্ষের একাংশের যুক্তি, মানবসম্পদের কেমন ব্যবহার হচ্ছে, এতে তার একটা চিত্র ধরা পড়বে। অনুৎপাদক মানবসম্পদ নিয়েও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। এত দিন এই মূল্যায়নের ধারাবাহিক কোনও ব্যবস্থা ছিল না। তাঁদের মতে, বিদ্যুৎ ভবন-সহ বণ্টন সংস্থার অনেক অফিসেই কাজের ভাগাভাগি ঠিকঠাক হয় না। কারও ঘাড়ে কাজের বিপুল বোঝা, আবার কারও কাজ নামমাত্র। ওয়ার্ক ডায়েরি চালু হলে এগুলো বন্ধ হবে। সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, দায়িত্ব বণ্টনে সমতা এবং নজরদারির জোড়া হাতিয়ারের সাহায্যে কাজে গতি আনবে ‘ওয়ার্ক ডায়েরি’। রাজ্য জুড়ে লো-ভোল্টেজ সমস্যা মেটাতে এই গতি আনাটা অত্যন্ত জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy