আহত অভিযুক্ত। রাজকুমার মোদকের তোলা ছবি।
মান বাঁচাতে এক যুবককে দা দিয়ে কুপিয়েছেন বলে দাবি করে থানায় আত্মসমর্পণ করলেন এক মহিলা। মঙ্গলবার দুপুরে ধূপগুড়ির সোনাখালি ফরেস্ট বস্তিতে ওই ঘটনা ঘটে। জখম যুবককে প্রথমে ধুপগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাঁকে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে পাঠানো হয়। এখন সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।
ধূপগুড়ি থানার আই সি সঞ্জয় দত্ত বলেন, ‘‘এ দিন দুপুরে সোনাখালি বনবস্তির বাসিন্দা ওই মহিলা আচমকা থানায় পৌঁছে এক যুবককে দা দিয়ে কোপানোর কথা জানিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।’’ পুলিশ জানিয়েছে, স্বামীর মৃত্যুর পর বছর দশেকের ছেলেকে নিয়ে দাদুর কাছে থাকেন ওই মহিলা। লাগোয়া একটি ছোট চা বাগানে শ্রমিকের কাজ করেন তিনি। এ দিন দুপুরে দাদু ও ছেলের অনুপস্থিতিতে ফুলদাস খড়িয়া নামে ওই যুবক মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে ওই মহিলা অভিযোগ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে ওই যুবক তাঁকে কূপ্রস্তাব দিচ্ছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
নিগৃহীতা জানান, এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁর ছেলে স্কুলে চলে যায়। দাদুও বাড়িতে ছিলেন না। হঠাৎই তার ঘরে ঢুকে পরে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ফুলদাস। তিনি বলেন ‘‘বাধা দিলে সে প্রথমে আমাকে একটি লাঠি দিয়ে আঘাত করে। আমি লাঠির আঘাতে পড়ে যাই। সঙ্গে সঙ্গে উঠে সম্ভ্রম বাঁচাতে হাতের কাছে একটি দা পেয়ে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করি। কিন্তু আটকাতে না পেরে তার ঘাড়ে কোপ বসাই।’’
অভিযুক্ত যুবক মহিলার প্রতিবেশী। বাড়িতে স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন এর আগেও বহুবার মদ্যপ অবস্থায় অশান্তি করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
আইসি জানান, লিখিত কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। ওই মহিলার বয়ানের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশের বক্তব্য,জখম যুবক সুস্থ হলে তাঁর বক্তব্য শোনা হবে।
প্রতিবেশীদের বয়ানও নেবে পুলিশ। তদন্ত সম্পূর্ণ হলে কারও কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তবেই মামলা দায়ের করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy