— প্রতীকী চিত্র।
মেয়েদের ‘রাত দখলের’ কর্মসূচিতে বুধবার কর্তব্যরত অবস্থায় জখম হয়েছেন এক পুলিশকর্মী। শুক্রবার এই অভিযোগ করে ওই মহিলা কনস্টেবলের ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে রাজ্য পুলিশের প্রশ্ন, ‘রাতটা কি শম্পারও ছিল না?’ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে নিজের কর্মক্ষেত্রেই এক চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুন করার অভিযোগ ওঠে সম্প্রতি। সেই ঘটনার প্রতিবাদে কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে বুধবার মধ্যরাতে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পথে নেমেছিলেন মেয়েরা। রাজ্য পুলিশের করা ওই পোস্টে জানানো হয়েছে, বাগুইআটিতে ‘রাত দখলের’ সেই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ভিড় থেকে ছোড়া ইটে আক্রান্ত হয়েছেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের মহিলা কনস্টেবল শম্পা প্রামাণিক। পুলিশের দাবি, শম্পা বুধবার রাতে বাগুইআটিতে নিজের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রাতে যাঁরা রাস্তায় হাঁটছিলেন, তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব ছিল শম্পার উপর। জমায়েতের মধ্যে থেকেই বিনা প্ররোচনায় ইট ছোড়া হয়, যা শম্পার মুখে লাগে। রাজ্য পুলিশের প্রশ্ন, নিজের কর্মক্ষেত্রে কেন আক্রান্ত হতে হবে পুলিশকে। পোস্টে তারা লিখেছে, ‘‘রাতটা কি শম্পারও ছিল না?’’
বুধবার মেয়েদের ‘রাত দখল’-এর কর্মসূচির মাঝেই আরজি কর হাসপাতালে হামলার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢুকে ভাঙচুর করা হয়েছে চিকিৎসার সরঞ্জাম, আসবাব। পুলিশের গাড়ি, কিয়স্ক ভাঙচুরের অভিযোগও উঠেছে। পুলিশ দাবি করেছে, আরজি করের জরুরি বিভাগের চারতলায়, যেখানে চিকিৎসক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, সেখানে হামলাকারীরা পৌঁছতে পারেননি। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন ২৪ জন। রাজ্য পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই দিন বাগুইআটিতে আক্রান্ত হয়েছেন মহিলা পুলিশ কর্মী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy