ঝুপ্পুস: মঙ্গলবার হাওড়ায়। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।
কেউ কেউ কথা রাখে।
কয়েক দিনের গতিপ্রকৃতিতে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ ইঙ্গিত-আশ্বাস দিচ্ছিল, নির্ঘণ্টের খানিকটা আগেই সে মৌসুমি বায়ুকে এনে দিতে পারবে মূল ভারতীয় ভূখণ্ডে। নির্দিষ্ট সময়ের দু’দিন আগে, মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড়ের পিঠে চেপেই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর এবং নাগাল্যান্ডের বেশ কিছু অঞ্চলে ঢুকে পড়েছে বর্ষা। দিল্লির মৌসম ভবন জানাচ্ছে, দু’তিন দিনের মধ্যে তা ঢুকে পড়তে পারে উত্তরবঙ্গে।
আরবসাগরে বায়ুপ্রবাহ অনুকূল থাকায় এ দিন কেরলেও ঢুকে পড়েছে বর্ষা। মৌসম ভবন জানাচ্ছে, ভারতীয় মহাসাগরের অনুকূল বায়ুপ্রবাহই সাততাড়াতাড়ি কেরলে ঢুকিয়ে দিয়েছে মৌসুমি বায়ুকে। বর্ষা ঢুকেছে তামিলনাড়ুর কিছু অংশেও।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোরায় বাংলাদেশে মৃত ৭
এক আবহবিদ জানাচ্ছেন, আপাতত পরিস্থিতি মৌসুমি বায়ুর এগিয়ে যাওয়ার অনুকূলেই আছে। সব ঠিকঠাক থাকলে কেরল থেকে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা পৌঁছতে সময় নেয় সাত দিন। সেই হিসেবে ৬ জুন নাগাদ বর্ষা ঢোকার কথা দক্ষিণবঙ্গে। তবে শেষ পর্যন্ত তা হবে কি না, তা এখনই বলতে পারছেন না আবহবিদেরা।
আলিপুর হাওয়া অফিসের এক কর্তা বলেন, ‘‘ওই দীর্ঘ পথ পেরোতে পেরোতে বায়ুপ্রবাহ কবে যে পথ পরিবর্তন করবে, তা কেউ বলতে পারে না। সাত দিনের মধ্যে অনেক কিছু ওলটপালট হয়ে যেতে পারে।’’
তবে উত্তরবঙ্গে বর্ষা এ সপ্তাহের শেষাশেষি ঢুকে যেতে পারে বলে আশা করছেন আবহবিদেরা। ঘূর্ণিঝড় মোরা এ দিন সকালে চট্টগ্রাম দিয়ে স্থলভূমিতে ঢুকেছে। শক্তি কমে গেলেও আরও দু’তিন তার জলীয় বাষ্প টানার ক্ষমতা থাকবে। আর তাতেই উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও উত্তরবঙ্গের বৃষ্টিভাগ্য উজ্জ্বল হওয়ার সম্ভাবনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy