শীতে জবুথবু। —ফাইল চিত্র
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ-ঘূর্ণাবর্ত নেই। মেঘ নেই আকাশে। বায়ুমণ্ডলে গরম জোলো হাওয়া খুবই কম।
অর্থাৎ মাঠ বেবাক ফাঁকা। তারই দৌলতে যিশু দিবসের শীত নিয়ে বাঙালির আক্ষেপ এ বার কিছুটা মিটল! হাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, গত তিন বছরে বড়দিনে শীত প্রায় ছিলই না। কিন্তু মঙ্গলবার, এ বছরের বড়দিনে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পারদ আরও নামছে। বুধবার মহানগরীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি।
পানাগড়, শ্রীনিকেতন, পুরুলিয়ায় এ দিন রাতের তাপমাত্রা ছিল আট ডিগ্রি বা তারও নীচে। কাঁপানো ঠান্ডা প়ড়েছে কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে। আবহাওয়া দফতরের খবর, শীতের দাপট মালুম হচ্ছে গোটা রাজ্যেই। ইংরেজি বর্ষশেষ তো বটেই, নববর্ষেও তার এই দাপট বজায় থাকবে।
গত তিন বছরে এই সময়ে ঘূর্ণাবর্ত, বা দুর্বল পশ্চিমি ঝঞ্ঝা (ভূমধ্যসাগরীয় এলাকা থেকে কাশ্মীরে বয়ে আসা ঠান্ডা, ভারী হাওয়া)-র জন্য শীতকে স্বমহিমায় পাওয়া যায়নি। শীত যে এ বছর দাপট দেখাচ্ছে, তার তিনটি কারণ দেখছেন আবহবিদেরা। প্রথমত, উত্তুরে হাওয়ার পথে কাঁটা ছড়ানোর জন্য কোনও নিম্নচাপ বা ঘূর্ণাবর্ত নেই। উত্তুরে হাওয়ার পথে বাধা দেওয়ার কেউ নেই রাজস্থান, হরিয়ানাতেও। ফলে উত্তুরে হাওয়া স্বাভাবিক নিয়ম মেনে বইছে। গয়ায় এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৪.৬ ডিগ্রি। দিল্লিতে ৩.৬। শ্রীনগরে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৬.৭ ডিগ্রি নীচে।
পারদ বড়দিনে
সাল কত∗
২০১৫ ১৮.১
২০১৬ ১৭.১
২০১৭ ১৪.০
২০১৮ ১২.৯
পারদ বুধবার
কোথায় কত∗
গয়া ৪.৬
রাঁচি ৫.৭
শ্রীনিকেতন ৭.৭
পানাগড় ৭.৯
পুরুলিয়া ৮.০
কোচবিহার ৮.১
কলকাতা ১২.০
∗তাপমাত্রা ডিগ্রি সেলসিয়াসে
দ্বিতীয়ত, গাঙ্গেয় বঙ্গের বায়ুমণ্ডলে গরম জোলো হাওয়া যৎসামান্য। তৃতীয়ত, আকাশ মেঘমুক্ত থাকায় সূর্যাস্তের পরে ভূপৃষ্ঠ দ্রুত তাপ বিকিরণ করে ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। ফলে রাতের পারদ অনেক বেশি নামতে পারছে। ‘‘উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে বাধাহীন ভাবে কনকনে উত্তুরে হাওয়া বয়ে আসছে। আকাশ মেঘমুক্ত। বায়ুমণ্ডল শুকনো। তাই কড়া শীত।
সকাল থেকেই লাল, নীল, হলুদ, সবুজ সোয়েটার, মাফলার, টুপিতে রঙিন ভিড়। তার একাংশ ঢুকছে চি়ড়িয়াখানায়, ভিক্টোরিয়ায়, ইকো পার্কে। বনভোজনের ভিড় সব জেলার নানা প্রান্তে। ‘‘আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও এক ডিগ্রির মতো নামতে পারে। বর্ষশেষেও জোর ঠান্ডা মিলবে,’’ বলছেন কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy