ফাইল চিত্র।
কেন্দ্র ও রাজ্যের এলাকা ‘বিভেদের’ ফলে অপরাধীরা মুক্ত হয়ে ঘুরে বেড়াবে কি না, বুধবার সেই প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজেশ বিন্দল।
কয়লা পাচার মামলায় রেল ও রাজ্যের এলাকা নিয়ে আইনি বিবাদ চলছে। এ দিন এই মামলার শুনানির শেষে এই মন্তব্য করেন তিনি। রায় ঘোষণা হয়নি। এর আগে এই মামলায় রেলের জায়গার বাইরে রাজ্যের অনুমতি ব্যতীত সিবিআই তদন্ত করতে পারবে না বলে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন।
এ দিন বিচারপতির বিন্দলের প্রশ্নের জবাবে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, অনুমান করে তদন্ত করতে হবে। বিচারপতির পাল্টা পর্যবেক্ষণ, অনুমান করে তদন্ত হয় না। প্রমাণ জোগাড়ের জন্য বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়।
কয়লা কেলেঙ্কারিতে রাজ্যের একাধিক প্রভাবশালী এবং পুলিশ অফিসারের নাম জড়িয়েছে। রাজ্যের অনুমতি ছাড়া সিবিআই তদন্ত করতে পারে কি না, সেই প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিযুক্ত অনুপ মাজী ওরফে লালা। এ দিন লালার আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা আদালতে জানান, রেল ও রাজ্যের জায়গা নিয়ে বিভ্রান্তি হলে রাজ্য তদন্ত করবে। ইসিএলের জায়গায় রেল লাইন থাকবে তা ইসিএলের সম্পত্তি। যদিও বিচারপতির প্রশ্ন, ‘‘ইসিএলের মধ্যে যে ওয়াগন থাকবে তা কি রেলের নয়?’’
কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা এ দিন ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে এই শুনানিতে ছিলেন। তিনি বলেন, রাজ্য ও কেন্দ্রের সীমানা নির্ধারণ প্রশাসনিক ব্যাপার। কোনও অপরাধী সেই সীমানা বণ্টনকে ব্যবহার করে অপরাধ করতে পারে না। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘কাল যদি কোনও অভিযুক্ত এসে সিবিআই তদন্ত চায় তা হলে কী হবে?’’ তাঁর দাবি, রাজ্য ২০১৮ সালে সিবিআইকে তদন্ত করতে দেওয়ার সাধারণ সম্মতি প্রত্যাহার করেছিল। যেহেতু এই অপরাধের সূত্রপাত ২০১৮ সালের আগে। তাই সিবিআইয়ের সম্মতির প্রয়োজন নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy