Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪
BJP

দরকারে জোর করে সভা করব, এসপি অফিস ঘেরাও করে চ্যালেঞ্জ দিলীপ ঘোষের

চলতি মাসের গোড়ার দিকেই বিজেপি সভা করতে চেয়েছিল গুড়াপে, দাবি দলের রাষ্ট্রীয় কার্যকারিণীর সদস্য জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিজেপির ঘেরাও।

দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিজেপির ঘেরাও।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৮ ১৭:৩২
Share: Save:

রেলের জায়গায় সভার তোড়জোড়। অনুমতি দিয়ে দিল রেল। বিজেপি নেতাদের দাবি অন্তত তেমনই। কিন্তু পুলিশের অনুমতি মিলল না। ফলে রবিবার হুগলির গুড়াপে বানচাল হয়ে গেল বিজেপির সভা। আর তার প্রতিবাদে পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করলেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষনেতারা। পুলিশকে দিলীপ ঘোষের চ্যালেঞ্জ, ‘‘গুড়াপে সভা করবই। দরকার হলে জোর করে করব।’’

চলতি মাসের গোড়ার দিকেই বিজেপি সভা করতে চেয়েছিল গুড়াপে, দাবি দলের রাষ্ট্রীয় কার্যকারিণীর সদস্য জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বললেন, ‘‘পুলিশ সে সময় আমাদের বলেছিল, এখন তৃণমূলের একটা কর্মসূচি রয়েছে, এখন সভা করবেন না। পরে করুন, অনুমতি দেব। তাই আমরা ২৮ অক্টোবর সভা রেখেছিলাম। তবু পুলিশ শনিবার রাতে সভাস্থলে গিয়ে সভার প্রস্তুতি বন্ধ করে দেয়।’’ জয়ের দাবি, ‘‘ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার সভার অনুমতি দিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের চাপে পুলিশ সভা ভেস্তে দিয়েছে।’’

এ দিন হুগলি জেলারই ডানকুনিতে বিজেপির ওবিসি মোর্চার একটি বৈঠক ছিল। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, জয় বন্দ্যোপাধ্যায়রা প্রথমে সেখানেই গিয়েছিলেন। সেখানেই খবর পৌঁছয় যে, গুড়াপে সভা ভেস্তে গিয়েছে। এই খবর পাওয়ার পরেই পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করার সিদ্ধান্ত নেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। ডানকুনি থেকে সোজা কামারকুণ্ডু চলে যান তাঁরা। হুগলির (গ্রামীণ) পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। এই কর্মসূচি যে নেওয়া হতে পারে, তার কোনও আভাস আগে থেকে ছিল না। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাওয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাতেও কিন্তু কামারকুণ্ডুতে জমায়েতের চেহারা খারাপ হয়নি রবিবার।

কামারকুণ্ডুতে পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে বিজেপির ঘেরাও কর্মসূচি।

আরও পড়ুন: দাড়িভিটে গুলির প্রমাণ কোথায়, প্রশ্ন শুভেন্দুর

একটি মিনি ট্রাকে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ভাষণ দেন বিজেপি নেতারা। দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘গুড়াপে আমরা সভা করবই। পুলিশ যদি অনুমতি না দেয়, জোর করেই করব।’’ পরে আনন্দবাজারকে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘আমরা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কথা মেনে এগোচ্ছি। প্রথমে প্রতিবাদ করেছি। তার পরে প্রতিরোধ। তাতেও কাজ না হলে এ বার প্রতিশোধ নিতে হবে।’’ রাজ্য বিজেপির সভাপতির কথায়, ‘‘আমরা আইন মেনেই সভা করার দিকে এগোব। পুলিশের কাছে অনুমতি চাইব। কিন্তু পুলিশ যদি আমাদের অনুমতি না দেয়, যদি তৃণমূল ভাবে যে পুলিশকে দিয়ে আমাদের আটকানো হবে, তা হলে খুব ভুল করছে। ও ভাবে আমাদের আটকানো যাবে না। প্রয়োজন হলে জোর করে সভা করব। শুধু গুড়াপে নয়, গোটা রাজ্যেই করব।’’

আরও পড়ুন: লোকসভায় ২৬টি আসন জিতবে বিজেপি, দাবি দিলীপের, আকাশকুসুম বললেন পার্থ

গুড়াপ যে বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে, সেই ধনেখালির বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অসীমা পাত্র কিন্তু সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘রেলের জায়গা, রেলই অনুমতি দেয়নি। আমাদের দিক থেকে কাউকে কোনও বাধা দেওয়া হয়নি।’’ কিন্তু বিজেপি নেতারা যে বলছেন, রেল অনুমতি দিয়েছিল, শনিবার রাতে পুলিশ সভার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে! অসীমা বললেন, ‘‘পুরো নাটক করছেন ওঁরা। শনিবার রাতে যদি পুলিশ ওঁদের বাধা দিয়ে থাকে, তা হলে শনিবার রাতেই অভিযোগ করলেন না কেন? আসলে ধনেখালিতে ওঁদের লোক নেই। তাই সভা করতে আসতে ভয় পেয়েছেন।’’

নিজস্ব চিত্র।

(মালদহ, দুই দিনাজপুর, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং সহ উত্তরবঙ্গের খবর, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা খবর পড়ুন আমাদের রাজ্য বিভাগে।)

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE