প্রতীকী ছবি।
মাধ্যমিকে এ বার পাশের হার (একশো শতাংশ) অন্যান্য বারের তুলনায় বেশি। দ্বাদশ শ্রেণিতে উঠলেই ট্যাবের টাকা-সহ নানান সরকারি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা। অনেক স্কুল-কর্তৃপক্ষের প্রশ্ন, এই সব কারণে এ বার একাদশে ভর্তির প্রবণতা বাড়বে কি? সে-ক্ষেত্রে অনেক স্কুলেই বাড়তি শিক্ষক ও অন্যান্য পরিকাঠামো দরকার বলে জানাচ্ছে শিক্ষা শিবির।
হাওড়ার ডোমজুড়ের কেশবপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর দাস জানান, উচ্চ মাধ্যমিকে তাঁদের প্রায় ১৩০টি আসন আছে। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য এ বার আবেদন করেছে ১৫০ জনেরও বেশি। “এ বার ভর্তির চাপ বেশি। একে তো সবাই পাশ করেছে। সেই সঙ্গে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা। সব মিলিয়ে দশমের পরে স্কুলছুটের সংখ্যা কমবে বলেই মনে হচ্ছে,” বলেন দীপঙ্করবাবু।
কাঁচরাপাড়া হার্নেট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক গৌতম বাচস্পতি জানান, তাঁদের স্কুলে অন্যান্য বারের তুলনায় ভর্তির চাপ অনেক বেশি। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে ভর্তির প্রবণতা বাড়ছে বলে মনে করছেন তিনিও। কিন্তু সেই সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, “বেশি ছাত্রছাত্রী ভর্তির নির্দেশ এলেও তাদের পড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত শিক্ষক আছে তো? আমাদের স্কুলেই তো ন’টি শিক্ষকপদ খালি রয়েছে। তাই শিক্ষকও নিয়োগ করা দরকার।”
সাধারণত মাধ্যমিক পাশের পরে অনেকে পড়া ছেড়ে দিয়ে নানা ধরনের কাজে নেমে পড়ে। মেয়েদের অনেকের বিয়ে হয়ে যায়। যারা পাশ করতে পারে না, তাদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি। এ বার সবাই পাশ করে যাওয়ায় কাজে চলে যাওয়া বা বিয়ের হার কমবে, মত শিক্ষক শিবিরের একাংশের।
বীরভূমের লাভপুরের সত্যনারায়ণ শিক্ষা নিকেতন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের এ দিকে স্কুলছুটের হার বৃদ্ধি বা বিয়ের পিঁড়িতে বসার ঘটনা সামনে এসেছে। আবার মাধ্যমিকে পাশ করে যাওয়ায় বিয়ের সিদ্ধান্ত বদল করে পড়াশোনায় ফিরে আসছে।” কলকাতার দ্য খিদিরপুর অ্যাকাডেমির শিক্ষক শেখ মহম্মদ সালিহিন বলেন, “মাধ্যমিক স্তরের কয়েক জন ছাত্র কাজে নেমে পড়েছিল। ওরা নিজেরাও ভাবতে পারেনি যে, মাধ্যমিকে পাশ করে যাবে। ওরাও পাশ করেছে। তাই আবার পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পড়াশোনা করে দ্বাদশে উঠলে ট্যাবের টাকা পাবে, এটাও হয়তো ওদের ভর্তির একটা কারণ।” সালিহিনের বক্তব্য, প্রতিটি স্কুলে আসন-সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সেই সঙ্গে স্কুলের পরিকাঠামো এবং শিক্ষকের সংখ্যাও বাড়ানো দরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy