বাবা সহিদুলের সঙ্গে বাবুর স্ত্রী রুমাইয়া।—নিজস্ব চিত্র।
বাবা সহিদুলের কোলে বার বার কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন বছর আঠাশের রুমাইয়া। ফুঁপিয়ে কাঁদতে কাঁদতে একটা কথাই বলছিলেন,“বেশি রোজগার করতে গিয়েই এই সর্বনাশ হল।”
প্রায় আট বছর অটো ধরে চালাতেন মইনুল হক মোল্লা ওরফে বাবু। মাত্র কয়েক দিন আগেই জয়নগরের বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের গাড়ি চালানো শুরু করেন। শুক্রবার দুপুরে কাঁদতে কাঁদতেরুমাইয়া বলেন, “কিছুদিন আগে গাড়ি চালানো শেখে ও। তারপর থেকে অটোর পাশাপাশি সুযোগ পেলে গাড়িও চালাত। দিন দশেক আগে সারফুদ্দিনবলে, ওর গাড়ি চালাতে। বলেছিল এমএলএ সাহেব চড়বেন।বেশি টাকা পাবে, এই ভেবেই অটো ছেড়ে সারফুদ্দিনের গাড়ি চালানো শুরু করে বাবু।’’
রুমাইয়ার অভিযোগ, এই খুনের পিছনে রয়েছে আব্দুল কাহার মোল্লা ওরফে বাবুয়া। তাঁর কথায়, “বাবুয়ার সঙ্গে সারফুদ্দিনের দীর্ঘদিনের শত্রুতা। এলাকার সবাই তা জানে। এক দিন আমার স্বামী বাবুয়ার বাইকের শো-রুমের সামনে অটো নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ বাবুয়া আর ওর ভাই এসে আমার স্বামীকে মারধর করে।”
আরও পড়ুন: ‘তেলের মেশিনের পিছনে শুয়েছিলাম আমি, চারদিকে শুধু ধোঁয়া আর গুলির আওয়াজ’
আরও পড়ুন: মেয়ের স্কুলে ভর্তির জন্য সার্টিফিকেট নিতে এসেই প্রাণ গেল আমিনের
বাবুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রুমাইয়া বলেন,“সারফুদ্দিনের সঙ্গে আমার স্বামী কথাবার্তা বলত। আর সেখান থেকেই ওদের ধারণা হয়েছিল, আমার স্বামীকে দিয়ে বাবুয়ার উপর নজর রাখছে সারফুদ্দিন।” তিনি আরও বলেন, “বৃহস্পতিবার সকাল সকাল বেরিয়েছিল। দুপুরেও খেতে আসেনি। ফোন করায় বলল, অনেক জায়গায় যেতে হয়েছে। তাই সময় পায়নি।” রুমাইয়া বিশ্বাস করেন সারফুদ্দিনকেই মারতে এসেছিল আততায়ীরা। কিন্তু বাবুয়ার রাগ ছিল তাঁর স্বামীর উপর। তাই তাঁকেও গুলি করা হয়েছে বলেও তাঁর অভিযোগ। তাঁর এই সন্দেহের কথা পুলিশকেও জানিয়েছেন রুমাইয়া।
প্রায় অথর্ব বৃদ্ধা মা, পঙ্গু বোন এবং স্ত্রী রুমাইয়াকে নিয়ে সংসার ছিল বাবুর। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী তিনি। মেয়ের পাশে বসে রুমাইয়ার বাবা সহিদুলের প্রশ্ন,“এবার বাকিরা বাঁচবে কী করে বলুন তো?”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy