(বাঁ দিকে) জগৎপ্রকাশ নড্ডা। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। —ফাইল ছবি।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন ডেঙ্গির তথ্য কেন্দ্রের কাছে নথিভুক্ত করছে না? তথ্য লুকোনোর কী আছে? সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় সোমবার এই প্রশ্নই তুললেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জগৎপ্রকাশ নড্ডা। পাল্টা জবাব দিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
সোমবার স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশ্নের জবাব দেন নড্ডা। সেই সময়েই তিনি বাংলার বিরুদ্ধে ডেঙ্গির তথ্য আড়াল করার অভিযোগ করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সেই প্রশ্নের ফুটেজ নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। নড্ডার কথার প্রতিক্রিয়ায় চন্দ্রিমা বলেন, ‘‘রোজই কিছু না কিছু বলেন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রকে যা যা দেওয়ার, সব দেওয়া হয়। কী আবার দেওয়া হয়নি?’’
বর্ষার মরসুমে প্রতি বারই ডেঙ্গির প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। এ বার আগে থাকতেই পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। পুরসভাগুলিকে এ বিষয়ে সক্রিয় করতে বৈঠকে বসবেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আগামী ৮ অগস্ট কলকাতার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেই বৈঠকে রাজ্যের সব পুরসভার চেয়ারম্যান ও দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের শীর্ষ আধিকারিক ও কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ আধিকারিকদের যোগদান করতে বলা হয়েছে। সেই বৈঠকে বেশ কিছু বিশেষজ্ঞও অংশ নেবেন বলে জানানো হয়েছে। পুরমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘বর্ষা অনেক দেরিতে এসেছে। তাই মশাবাহিত রোগ এখন কম। কিন্তু বর্ষার ফলে জল যাতে কোথাও জমে না থাকে, সে বিষয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। যে বৈঠক ডাকা হয়েছে, সেখানে পুরসভাগুলিকে ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়া কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, সে বিষয়ে বেশ কিছু পরামর্শ ও নির্দেশ দেওয়া হবে।’’ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকেই জেলা এবং মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy