গ্রাফিক: সনৎ সিংহ
রাজ্য বিজেপি যখন নেতাজি জয়ন্তী পালনে ব্যস্ত, তারই মধ্যে কিছুটা বেনজির ভাবে দলের দুই নেতাকে শো কজ করল গেরুয়া শিবির। সাধারণভাবে কোনও নেতার বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নিলে বিজেপি-র পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমে তা ঘোষণা করা হয়। নিদেনপক্ষে প্রেস বিবৃতি আকারে শো কজের চিঠি প্রকাশ করা হয়। কিন্তু রবিবার যেটা হল, তা রাজ্য বিজেপি-তে বেনজির বলা যেতে পারে। বিজেপি সূত্রে খবর, পরিকল্পনা করেই দলের পক্ষ থেকে ওই দু’টি চিঠি ফাঁস করে দেওয়া হয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জয়প্রকাশ মজুমদার বা রীতেশ তিওয়ারি চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করেননি।
কিন্তু কেন এত তড়িঘড়ি এই সিদ্ধান্ত? রাজ্য বিজেপি-র কোনও নেতা এ ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি হননি। তবে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় আটকে থাকা বিদ্রোহ যাতে রাজ্যের অন্য জেলায় সংক্রমিত না হয়, তা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ। এর আগে প্রথমে কলকাতায় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে রুদ্ধদ্বার বৈঠক ও পরে বনগাঁয় চড়ুইভাতিতে মিলিত হন বিদ্রোহী নেতারা। রবিবার একই ভাবে চড়ুইভাতি হয় উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙায়। বিদ্রোহীদের যা পরিকল্পনা, তাতে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিভিন্ন জেলায় এমন চড়ুইভাতি করতে চান শান্তনু ঠাকুর। তেমন ইঙ্গিত তিনি নিজেও দিয়েছেন।
উত্তর ২৪ পরগনার পরেই এমন চড়ুইভাতি হওয়ার কথা ছিল পুরুলিয়া জেলায়। সেখানে বিজেপি-র আর এক বিক্ষুব্ধ নেতা মনোজ মাহাতোর বাড়িতে বৈঠক করারও কথা ছিল জয়প্রকাশ, রীতেশদের। তা যাতে তাঁরা করতে না পারেন, তার জন্য রবিবারের এই পদক্ষেপ।
গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, প্রথমে এই দুই নেতাকে চিঠি দেওয়া হলেও এর পরে জেলাস্তরের বিদ্রোহীদের কারণ দর্শাতে বলা হতে পারে। সব মিলিয়ে রাজ্য বিজেপি চাইছে, বিদ্রোহ যেন জেলায় জেলায় সংক্রমিত না হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy