পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের জন্য কলকাতা হাইকোর্ট ৯ নভেম্বর একটি নির্দেশ দেয়। প্রতীকী ছবি।
৮২ নম্বর পেয়ে ২০১৪-এর টেট উত্তীর্ণ, সংরক্ষিত শ্রেণিভুক্ত প্রার্থীদের কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে ইন্টারভিউয়ে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সোমবার পর্ষদের তরফে এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ মার্চের মধ্যে পর্ষদের দু’টি ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন জানাতে পারবেন প্রার্থীরা। সোমবার থেকেই পর্ষদের ওয়েবসাইটে আবেদন করতে পারবেন তাঁরা। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষাটি হয়েছিল ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের জন্য কলকাতা হাইকোর্ট ৯ নভেম্বর একটি নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশের ভিত্তিতে যাঁরা ৮২ নম্বর পেয়েছেন, এ ক্ষেত্রে কেবলমাত্র তাদের ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হবে। তা-ও আবার আবেদনের ভিত্তিতে। এই বার মূলত টেট ২০১৭ উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ইন্টারভিউ হয়েছিল। এর পর যদি কোনও প্রার্থী বাকি থেকে যান, তা হলে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় ৮২ নম্বর প্রাপ্তদের সঙ্গেই ইন্টারভিউ দিতে পারবেন তাঁরাও। পর্ষদ সূত্রে খবর, টেট ২০১৪-তে ৮২ পেয়ে উত্তীর্ণ প্রার্থীর সংখ্যা ৭,৬৬৫। আর টেট ২০১৭-য় ৭২২ জন প্রার্থী ৮২ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
পর্ষদের এমন বিজ্ঞপ্তি জারিকে আবার মুখ্যমন্ত্রীর একটি মন্তব্যের সঙ্গে জুড়ে দেখছেন বাংলার রাজনীতির বৃত্তে থাকাদের একাংশ। গত ১৫ মার্চ আলিপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের অনুষ্ঠানে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আদালতের রায়ে একের পর এক চাকরি চলে যাওয়া প্রসঙ্গে মুখ খোলেন মমতা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায় নিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘‘এখন রোজ কথায় কথায় ৩ হাজার চাকরি বাদ। ৪ হাজার চাকরি বাদ! কেউ যদি নিচুতলায় অন্যায় করেও থাকে, সংশোধনের সুযোগ পাওয়া উচিত।’’ মমতা আরও বলেন, “আমি জীবনে জেনেশুনে কোনও অন্যায় করিনি। আমি ক্ষমতায় আসার পর একটাও সিপিএম ক্যাডারের চাকরি খাইনি। তা হলে তোমরা কেন খাচ্ছ? দেওয়ার ক্ষমতা নেই। কাড়ার ক্ষমতা আছে!’’ মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “হঠাৎ করে চাকরি চলে গেলে সে খাবে কী! আমি বলছি, যারা অন্যায় করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করুন, কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু, ছেলেমেয়েগুলোর যাতে কোনও সমস্যা না হয়। তাদের চাকরি আইন অনুযায়ী ফিরিয়ে দিন।” আর সেই বক্তব্যের এক সপ্তাহের মাথায় পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করাকে সরকারি সিদ্ধান্তের সঙ্গে যুক্ত করে কটাক্ষ করছেন অনেকে। তাঁদের যুক্তি, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় নম্বর সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল গত বছর নভেম্বর মাসে। আর সেই নির্দেশ কার্যকর হচ্ছে প্রায় পাঁচ মাস পরে। যদিও পর্ষদ কর্তাদের একাংশের দাবি, এর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতার কোনও যোগ নেই। যে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তা আদালতের নির্দেশই করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy