বাতিল টাকার গেরোয় এ বার পুলিশ!
বিভিন্ন মামলায় পুলিশের কাছে থাকা বাতিল নোটের ভবিতব্য কী? উত্তর পুলিশের অজানা। দিশা পেতে রাজ্যে প্রতিটি মামলা ধরে তদন্তকারী অফিসারেরা আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন। রাজ্য পুলিশের সর্বোচ্চ স্তর থেকে প্রতিটি জেলার সুপারদের এ নিয়ে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
রাজ্য পুলিশের আইজি পদমর্যাদার এক অফিসার বলেন, ‘‘কিছু মামলার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলার ট্রেজারিতে টাকা জমা দেওয়াই প্রথা। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কী হবে, তা নিয়ে আদালত নির্দেশিত পথেই পুলিশ হাঁটবে।’’
সাধারণত জুয়া বা সাট্টার বোর্ড থেকে উদ্ধার টাকা কোর্টের নির্দেশমতো পুলিশ সরকারি ট্রেজারিতে জমা করে। কিন্তু যে সব মামলায় টাকাকে নথি হিসেবে দেখানো হয়, সেই সব মামলার ক্ষেত্রে বাতিল নোটের গ্রহণযোগ্যতা কতটা থাকবে, তা নিয়ে পুলিশ মহলে ধন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে বিভিন্ন থানার মালখানায় (যে জায়গায় পুলিশ বাজেয়াপ্ত জিনিস রাখে) জমা লক্ষ লক্ষ টাকা। যার অনেক নোটই এখন বাতিল। তাই পুলিশ দিশা পেতে চাইছে।
কয়েক মাস আগে হুগলির একটি সংস্থার প্রায় ৬০ হাজার টাকা এক ব্যক্তি এক জনের হাতে তুলে দিতে যাচ্ছিলেন। পথে দুষ্কৃতীরা তাঁকে মেরে ফেলে সেই টাকা হাতিয়ে নেয়। তদন্তে নেমে পুলিশ সেই টাকা হাওড়া থেকে উদ্ধার করে। ধরা হয় দুই দুষ্কৃতীকে। সংশ্লিষ্ট কোম্পানির ম্যানেজার উদ্ধার হওয়া টাকা দেখেই চিনতে পারেন। এমনকী ক’টি ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট দেওয়া হয়েছিল তা-ও বলে দেন। কিন্তু সেই নোট নিয়ে এখন ফাঁপড়ে পড়েছেন তদন্তকারী অফিসার। তিনি বলেন, ‘‘ওই নোট এখন বাতিল। তার বদলে অন্য টাকা দিলে মামলা দাঁড়াবে না। আদালতের কাছে আমারা জানতে চাইব, এই পরিস্থিতিতে কী করণীয়?’’
হুগলি জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘এক-একটি মামলায় টাকার ভূমিকা ভিন্ন হতেই পারে। তাই প্রতিটি মামলার ক্ষেত্রে আদালত যে নির্দেশ দেবে সেটাই পালন করা হবে। পুলিশ কোনও ঝুঁকি নেবে না।’’ উদাহরণ হিসেবে তিনি জানান, পেশাদার দুষ্কৃতীকে কোনও কারণে ব্যবহারের জন্য অনেক সময় ‘সুপারি’ দেওয়া হয়। সেই ‘সুপারি’র টাকা অনেক ক্ষেত্রে পুলিশ উদ্ধারও করে। মামলায় সেই টাকা পুলিশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নথি। সেই নথিই এখন বাতিল! তাই আদালতের শরণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy