Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Sukanta Majumdar

মমতার সরকার ডিসেম্বরেই পড়ে যাবে! মুখ্যমন্ত্রীও জেলে চলে যেতে পারেন, দাবি সুকান্তের, পাল্টা তৃণমূল

তৃণমূল প্রসঙ্গে সুকান্তের এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল। কুণালের মতে, এই সমস্ত মন্তব্য আসলে বিজেপির দলের ভিতরের দ্বন্দ্বের প্রমাণ।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যাের সরকার নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণালও।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যাের সরকার নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণালও। ফাইল চিত্র ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬:২৩
Share: Save:

বছর ঘোরার আগেই বাংলার তৃণমূলের সরকার পড়ে যাবে। এমনকি, স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জেলে যেতে পারেন। মঙ্গলবার এমন মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে সুকান্ত শুধু ‘ভবিষ্যদ্বাণী’ই করেননি, একই সঙ্গে তার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘মমতাই যদি জেলে থাকেন, তবে সরকার চালাবে কে!’’ এ প্রসঙ্গে পাল্টা তোপ দেগেছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘যদি সিবিআই-ইডি দিয়েই সরকার বদল হয়, তবে রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী এ সব পদে তদন্তকারী সংস্থার লোকেদেরই বসানো হোক না!’’

মঙ্গলবার হুগলিতে বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। সেই কর্মসূচির ফাঁকেই উপস্থিত সাংবাদিকদের সুকান্ত বলেন, ‘‘এটা তো স্পষ্ট যে, একটা সময়ের পর হাতে গোনা কয়েক জন তৃণমূল নেতাই বিশেষ করে রাজ্যের মন্ত্রীরা জেলের বাইরে থাকবেন। বাকিরা থাকবেন জেলের ভিতরে। যদি সব মন্ত্রীরাই জেলে থাকেন। তবে সরকার কী করে চলবে?’’

এর পরেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর নাম করে সুকান্ত বলেন, ‘‘আমাদের অনুমান ডিসেম্বরের মধ্যেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে। রাজ্যের বেশির ভাগ মন্ত্রী, আমি জানি না মুখ্যমন্ত্রীও তাঁদের মধ্যে থাকবেন কি না! কারণ এমনও হতে পারে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও জেলেই রইলেন। যদি তা হয়, তবে নিশ্চিত ভাবেই এই সরকারের পতন হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া এই সরকার আর কে চালাবে!’’

তবে তৃণমূল প্রসঙ্গে সুকান্তের এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল। কুণালের মতে,এই সমস্ত মন্তব্য আসলে বিজেপির দলের ভিতরের দ্বন্দ্বের প্রমাণ। কুণাল বলেন, ‘‘বিজেপিতে দলের মধ্যেই প্রতিযোগিতা চলছে। কেন না রাজ্য বিজেপির নেতারা অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছেন। মিঠুনদা একটা ফিগার। তাঁকে আবার এখানে পাঠানো হয়েছে। কারণ, নেতৃত্ব বুঝতে পেরেছেন এঁরা অযোগ্য।’’

বিজেপির শীর্ষ নেতারা গত কয়েক দিন ধরে নানা ভাবে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করছেন। তবে সেই সব আক্রমণের মধ্যে কোনও ‘সাযুজ্য’ নেই জানিয়ে কুণাল বলেন, ‘‘এক এক জন এক এক কথা বলছেন। কেউ বলছেন পরের ভোট জিততে হবে। আবার কেউ বলছে, এখনই আমাদের সরকার গড়তে হবে। আর গোটাটাই ভাবা হচ্ছে জনগণের উপর নয়, মানুষের ভরসায় নয়। সিবিআই আর ইডির ভরসায়। তারাই এসে এদের সরকার গড়ে দেবে। আসলে এরা পিছিয়ে আছে। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। শুধু নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে চলেছে। কে কাকে টপকাবে। কিন্তু সিবিআই-ইডিই যদি সব করে দেবে, তবে ওই সব ট্রেনি নেতাগুলোকে রাজ্যে নিয়ে আসা হল কেন!’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy