ফাইল ছবি
ভোটের মুখে বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে ৭০টি মামলা প্রত্যাহার করে নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে। সূত্রের খবর, এই মর্মে রাজ্যের আইন দফতরের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে দার্জিলিং জেলা পুলিশকে। বিমলের বিরুদ্ধে ভানুভবন, কালিম্পং, কার্শিয়াং-সহ বিভিন্ন জায়গায় সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় একাধিক মামলা ঝুলছে। নবান্ন সূত্রে শনিবার জানা গিয়েছে, বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে যে সমস্ত মামলা রয়েছে, তার মধ্যে ইউএপিএ এবং ৩০২ ধারায় খুনের মামলা বাদে বাকি ৭০টি মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে।
আইন দফতর থেকে দার্জিলিং জেলা পুলিশের কাছে এই নির্দেশিকা পৌঁছনোর পর, সেখানকার পুলিশ আধিকারিকদের মধ্যে তৎপরতাও শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বিমলের বিরুদ্ধে যে মামলাগুলি রয়েছে, সেই নিয়ে বিভিন্ন আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টার পাশাপাশি দ্রুত মামলাগুলি প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াও তাঁরা শুরু করবেন বলে জানা গিয়েছে। আদালতের মাধ্যমেই চলবে মামলা প্রত্যাহারের কাজ।
প্রায় ৩ বছর অজ্ঞাতবাসে থাকার পর গত অক্টোবর মাসের ২১ তারিখে একসময়ে পাহাড়ের একচ্ছত্র নেতা বিমল প্রকাশ্যে আসেন। হঠাৎই হাজির হন বিধাননগরের গোর্খা ভবনের সামনে। সেখানে ঢুকতে না পরে, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা ঘোষণা করেন, তিনি সাংবাদিক বৈঠক করবেন। একাধিক মামলায় ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ বিমল অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার পর তাঁর হঠাৎ আবির্ভাবে তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে।
চমক তখনও বাকি ছিল। সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি-র সঙ্গ ত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন গোর্খা নেতা। তিনি বলেছিলেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে দেখতে চান। পাশাপাশি লড়াই করতে চান তৃণমূলের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে। তারপরই পাহাড়ের রাজনীতিতে সমীকরণ বদলের ইঙ্গিত মেলে। বিমলপন্থী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সমর্থকরা ফের প্রকাশ্যে প্রচার শুরু করেন।
এরপর ডুয়ার্সে ও পাহাড়ে একাধিক সভায় বক্তব্য রাখতে দেখা যায় বিমলকে। সেই সব সভার পোস্টারে ছয়লাপ হয় কালিম্পং, কার্শিয়াং থেকে দার্জিলিং। মোড়ে মোড়ে ফিরে আসে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পতাকাও।
লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গ তৃণমূলের থেকে কিছুটা মুখ ফিরিয়েছিল। বিপুল ভোট পায় বিজেপি। বিধানসভা ভোটে সেই সমীকরণে ফারাক গড়ে দিতে পারেন কোনও পাহাড়ের জননেতাই, সে কথা বিলক্ষণ জানে সকলে। তাই বিমলের আবির্ভাব ও তৃণমূলকে সমর্থনের অঙ্গীকার নতুন করে ঘাসফুল শিবিরের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। বিরোধীদের প্রশ্ন, বিমলের এই পদক্ষেপের পুরস্কার হিসাবেই কি তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত মামলা তুলে নেওয়ার কথা ভাবছে রাজ্য? তাঁরা বলছেন, ‘আনুগত্য’-এর পুরস্কার পেতে চলেছেন বিমল।
যদিও এ নিয়ে এখনও সরকারি ভাবে নবান্ন থেকে কিছু জানানো হয়নি। খবর পাননি রোশন গিরিও। রোশন বলেছেন, ‘‘রাজ্য সরকার কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরা এখনও তা খবর পাইনি। মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে আমরা কিছু জানি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy