Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Migrant Workers

লকডাউনে কাজ হারিয়ে ফেরা শ্রমিকরা ৯০ হাজার টাকা দিলেন মমতা-তহবিলে

দুঃসময়ে ১০০ দিনের কাজে সুযোগ পেয়ে ৭ দিনে ১ টাকা করে জমিয়ে টাকা তোলা হয়। সেই টাকাই জমা পড়ল মুখ্যমন্ত্রীর করোনা তহবিলে।

চেক তুলে দেওয়া হচ্ছে বিধায়কের হাতে।

চেক তুলে দেওয়া হচ্ছে বিধায়কের হাতে। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চন্দ্রকোনা শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৬:৫৩
Share: Save:

করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর লকডাউনে কাজ হারিয়েছিলেন অনেকেই। সেই সময় তাঁদের সহায় হয়েছিল একশো দিনের কাজের প্রকল্প। সেখান থেকে পাওয়া টাকা জমিয়েই এ বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করোনা ত্রাণ তহবিলে দান করতে এগিয়ে এলেন সাধারণ মানুষ। চন্দ্রকোনার বিধায়ক ছায়া দলুইয়ের হাতে মোট ৯০ হাজার ৮০৬ টাকার চেক তুলে দিয়েছেন তাঁরা।

শনিবার চন্দ্রকোনার ২ নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েত কার্যালয়ে ওই টাকা তুলে দেওয়া হয়। তাতে শ্রমজীবী মানুষের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে দেখা যায় পঞ্চায়েত প্রধান ইসমাইল খাঁ-কে।

জানা গিয়েছে, লকডাউনের সময় কাজ হারিয়ে বিভিন্ন রাজ্য থেকে ঘরে ফিরে আসতে হয়েছিল হাজার হাজার শ্রমিককে। একসময় পেট চালানো দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে তাঁদের। সেই সময়, অর্থাৎ মে মাসে ১০০ দিনের কাজ তাঁদের সহায় হয়।

তাই মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতাবশত সেই সময়ই তাঁর তহবিলে দান করার সিদ্ধান্ত নেন ওই পঞ্চায়েতের অধীনস্থ ১৫টি সংসদের একাধিক পরিযায়ী শ্রমিক-সহ মোট ১২ থেকে ১৩ হাজার শ্রমিক। প্রথম ৭ দিন তাঁদের প্রত্যেকে ১ টাকা করে জমান। সেই টাকাই শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে জমা পড়ে।

ইসমাইল খান বলেছেন, ‘‘১ টাকার কয়েন জমিয়েই এত টাকা জমা হয়েছে। এত কয়েন ব্যাঙ্কেও জমা দেওয়া যাচ্ছিল না। শেষে স্থানীয় একটি দোকানে কিছু কয়েন দিয়ে নোট নেওয়া হয়। ৯ হাজার টাকার কয়েন জমা নিয়ে তার পরিবর্তে নোট দিয়েছে ব্যাঙ্ক। তার পর ৯০ হাজার ৮০৬ টাকা জমা করে চেক তৈরি করা হয়।’’

মজুরির টাকা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে দান করার এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন শাসকদলের বিধায়ক থেকে ব্লক প্রশাসনের কর্মীরা। চন্দ্রকোনার বিধায়ক ছায়া বলেন, ‘‘খুব শীঘ্র মুখ্যমন্ত্রীর করোনা তহবিলে ওই টাকা জমা পড়বে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE