পূর্ত দফতরের অধীনে থাকা প্রতিটি শাখাকে কাজের অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে সংশ্লিষ্ট কমিটিকে। —ফাইল চিত্র।
শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট! তাই দ্রুত প্রকল্প রূপায়ণে একটি বিশেষ সেল গড়ল পূর্ত দফতর। বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে নিজের বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়কে কাজে গতি আনার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ পাওয়ার পরই দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন পূর্তমন্ত্রী। নবান্ন সূত্রে খবর তার পরেই একটি বিশেষ মনিটরিং সেল গড়েছে সংশ্লিষ্ট দফতর। বর্তমানে পূর্ত দফতরের হাতে একাধিক প্রকল্পের কাজ রয়েছে। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তার বেশির ভাগটাই শেষ করার পক্ষপাতী মুখ্যমন্ত্রী। তাই পড়তে মন্ত্রীকে এই সংক্রান্ত বিষয় নির্দেশ দিয়েছেন বলেই মনে করছেন অমান্যের আধিকারিকরা। তাই বেশির ভাগ প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করতে পাঁচ সদস্যের ‘রিপোর্ট মনিটরিং সেল’ গঠন করেছে পূর্ত দফতর।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মেনে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করাই আপাতত মূল লক্ষ্য সংশ্লিষ্ট দফতরের। সেই কারণে একেবারে নবান্ন থেকে সারা রাজ্যে চলা প্রকল্পের কাজগুলির অগ্রগতির উপর নজর রাখতে চাইছেন পূর্ত দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এই ‘রিপোর্ট মনিটরিং সেল’-এর মাথায় রাখা হয়েছে পূর্ত দফতরের বরিষ্ঠ ডেপুটি সেক্রেটারিকে। পূর্ত দফতরের অধীনে থাকা প্রতিটি শাখাকে কাজের অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে সংশ্লিষ্ট কমিটিকে।
রিপোর্টে ঠিক কোন কোন তথ্য জানাতে হবে, তা-ও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রতিটি শাখা এবং জেলায় নিযুক্ত পূর্ত দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের। সেই রিপোর্টগুলির বিশ্লেষণ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রিপোর্ট মনিটরিং সেলকে। কোনও ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের পরেও কাজ শেষ না হলে বা কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক না হলে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করতে পারবে এই সেল। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে সেই কাজে গতি আনার উদ্যোগ নেবেন স্বয়ং পূর্তমন্ত্রী।
পূর্ত দফতরের কাজে গতি আনার পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের দায়িত্বে রয়েছেন পুলক। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী পূর্ত দফতরের কাজে গতি আনার পাশাপাশি ২০২৪ সালের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তাঁকে। তাই মনে করা হচ্ছে পূর্ত দফতরের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর নিজেদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এই ধরনের কমিটি গঠন করতে পারেন। তবে ইতিমধ্যে জনপ্রতিনিধিদের মারফত নিচু তলায় পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে কী কী অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন, সে বিষয়ে কথা বলা শুরু করেছেন পুলক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy