সাজাপ্রাপ্ত: সিউড়ি আদালতে ভগীরথ ঘোষ, সুব্রত রায়। নিজস্ব চিত্র
সাগর ঘোষ হত্যাকাণ্ডে সজলকান্তি ওরফে সুব্রত রায় ও ভগীরথ ঘোষের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে খুশি নিহতের ছেলে হৃদয় ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘সব অভিযুক্ত সাজা পেলে ভাল হত। তবে দু’জনের যাবজ্জীবনে আমরা খুশি।’’
সাজা শোনার পর সংশোধানগারে যাওয়ার পথে নিজেদের ফের নির্দোষ দাবি করেন সজলকান্তি, ভগীরথ। তারা অভিযোগ করেন, হৃদয় ঘোষ নিজের ‘কেরিয়ার’ তৈরির জন্য এবং টাকার লোভে তাদের ফাসিয়েছেন। একই দাবি সাজা পাওয়া দু’জনের আত্মীয়দের। তাঁদের বক্তব্য, গুলি করে খুনের দায়ে দু’জনের যাবজ্জীবন সাজা হল। কিন্তু নিহতের দেহ থেকে কোনও গুলি উদ্ধার করা যায়নি। সুবিচারের আশায় তাঁরা উচ্চ আদালতে যাবেন। রায় নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী।
২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে খুন হন সাগরচন্দ্র ঘোষ। বিচার শেষে বৃহস্পতিবার আট অভিযুক্তের ছ’জনকে বেকসুর খালাস করলেও, সুব্রত ও ভগীরথকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। বেআইনি প্রবেশ, খুন ও অস্ত্র আইনে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে।
গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রকাশ্য সভায় নির্দল প্রার্থীদের বাড়ি ভেঙে, পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। তার কয়েক দিন পরেই বীরভূমের পাড়ুই থানার কসবা পঞ্চায়েতের নির্দল প্রার্থী (বিক্ষুব্ধ তৃণমূল) হৃদয় ঘোষের বাবা সাগর ঘোষকে গুলি করে খুন করা হয়। ওই ঘটনায় তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী সহ ৪১ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের পুত্রবধূ শিবানী ঘোষ। অভিযোগ ছিল, ঘটনার দিন বাড়ির পাঁচিল টপকে তাঁদের ঘরে ঢুকেছিল কয়েক জন। তারা সাগরবাবুকে গুলি করে। গুলি চালানোর অভিযোগ ছিল ভগীরথ ও সজলকান্তি সহ ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে। আদালতের নির্দেশে গঠিত মামলার বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) ২০১৪ সালের জুলাই মাসে ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। তবে তাতে অনুব্রত সহ অনেকের নাম ছিল না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy