সাগর ঘোষ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হবে আজ, বৃহস্পতিবার।
গত ২৭ মার্চ ওই মামলার বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছিল। সে দিনই জানানো হয়েছিল রায় ঘোষণার দিন। সিউড়ি জেলা জজ পার্থসারথি সেন সেই রায় ঘোষণা করবেন।
২০১৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে খুন হন পাড়ুইয়ের বাঁধ নবগ্রামের বাসিন্দা সাগর ঘোষ। হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তভার নেয় বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। ২০১৪ সালের ১৬ জুলাই আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। তাতে নাম ছিল তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সম্পাদক শেখ মুস্তফা, তৃণমূলের কসবা অঞ্চল সভাপতি শেখ ইউনুস, জলধর দাস, জগন্নাথ দাস, প্রিয় মুখোপাধ্যায়, ভগীরথ ঘোষ, সুব্রত রায় এবং শেখ আসগরের। শেখ আসগর ছাড়া বাকি সাত জনই গ্রেফতার হয়েছিলেন।
সিউড়ি জেলা আদালতে ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি চার্জ গঠিত হয়। ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই সিউড়ির তৎকালীন জেলা জজ গৌতম সেনগুপ্তের এজলাসে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। কিন্তু প্রথম থেকেই ওই চার্জশিট নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না নিহতের পরিবার। সাগর ঘোষের স্ত্রী সরস্বতী ঘোষ, ছেলে হৃদয় ঘোষ, পুত্রবধূ শিবানী ঘোষ মামলার সাক্ষ্য দিতে এক দিনও আদালতে হাজির হননি। সেই সময় মামলায় মোট ৫১ জনের সাক্ষ্য নেওয়ার কথা থাকলেও ১৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া সম্ভব হয়।
সাগর ঘোষের পরিবার সিবিআই তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের নির্দেশে নিম্ন আদালতে এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়। পরে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসেন নিহতের ছেলে হৃদয় ঘোষ। সুপ্রিম কোর্টে মামলা প্রত্যাহার করেন তিনি। নিম্ন আদালতে ফের শুরু হয় সেই মামলা। ইতিমধ্যেই চার্জশিটে নাম থাকা শেখ আসগরও গ্রেফতার হন।
আরও পড়ুন: সেই সাগর-পুত্রই আজ তৃণমূল প্রার্থী
তার পর থেকেই মামলার বিচার প্রক্রিয়া চলছিল। গত মাসেই যা শেষ হয়েছে। পাঁচ জন জামিন পেলেও ভগীরথ ঘোষ, সুব্রত রায় এবং শেখ আসগর জেল হেফাজতে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার কী রায় দেয় আদালত সেই দিকে তাকিয়ে অভিযুক্ত ও অভিযোগকারীর পরিবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy