শারীরিক পরিস্থিতি জানতে চাইলেন। তাঁকে শরীরের যত্ন নেওয়া পরামর্শও দিলেন। তবে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করলেন না বারুইপুরের অতিরিক্ত বিচার বিভাগীয় বিচারক অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ, সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে আরাবুলকে।
১১ মে ভাঙড়ের কাশীপুর থানার নতুনহাট এলাকায় গুলিতে পাওয়ার গ্রিড বিরোধী এক আন্দোলনকারীর মৃত্যুর ঘটনায় আরাবুল গ্রেফতার করা হয়। ১২ মে বারুইপুর আদালতে হাজির করানোর পরে তাঁকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। তার পরে তাঁকে ভাঙড় থানায় পুলিশি হাজতে রাখা হয়। এক সময় দলের ‘তাজা নেতা’ আখ্যা পাওয়া আরাবুলকে ১৯ মে রক্তে অনিয়ন্ত্রিত শর্করার সমস্যায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শনিবার এসএসকেএম থেকে নিয়ে যাওয়া হয় ভাঙড় থানায়।
রবিবার বারুইপুরের অতিরিক্ত বিচার বিভাগীয় বিচারক অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে তোলা হয় আরাবুলকে। তাঁর আইনজীবী হাফিজুর রহমান জানান, তাঁর মক্কেলের শারীরিক অবস্থা ভাল নয়। অনিয়ন্ত্রিত শর্করার সমস্যা আছে। তা ছাড়া তিনি এক জনপ্রতিনিধি। সম্প্রতি পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। তাঁকে পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করতে হবে। সেই জন্য তাঁকে জামিন দেওয়া হোক।
বিচারক তখন আরাবুলকে জিজ্ঞেস করেন, ‘‘আপনার শারীরিক অবস্থা কেমন? নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলুন। সব সময় শরীরের প্রতি নজর রাখবেন।’’ উত্তরে আরাবুল বলেন, ‘‘হ্যাঁ, আমি নজর রাখব স্যর।’’
জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে বিচারক জানান, আরাবুল অসুস্থ বোধ করলেই তাঁকে জেল হাসপাতালে রেখে চিকিৎসার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। সব সময় তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির উপরে পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যেতে হবে। ৮ জুন আরাবুলকে ফের আদালতে হাজির করানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
আদালত-চত্বরে আরাবুল বলেন, ‘‘মানুষ আরাবুলকে ভালবাসে বলেই নির্বাচনে জিতিয়েছেন। দলীয় নেত্রীর ছবি মাথায় রেখেই আমার এই জয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy