কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।
স্বাভাবিক ছুটি নয়। করোনা-কালবেলায় লকডাউনের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এই ঘরবন্দিদশায় ছাত্রছাত্রীদের মানসিক চাপ কমাতে কিছু কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও পড়ুয়া মানসিক চাপের শিকার হলে মনস্তত্ত্ব ও ফলিত মনস্তত্ত্ব— এই দুই বিভাগ তাঁর কাউন্সেলিং করবে।
শিক্ষা শিবিরের পর্যবেক্ষণ, ভয়ঙ্কর ব্যাধির প্রাদুর্ভাবের জন্য উৎকণ্ঠার পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের দুর্ভাবনা আসলে শিক্ষার্থী হিসেবে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে। কবে থেকে আবার নিয়মিত ক্লাস হবে, যথাসময়ে পাঠ্যক্রম শেষ হবে কি না, পরীক্ষা পিছিয়ে গেলে পরবর্তী পঠনপাঠনের কী হবে, শেষ সিমেস্টার সম্পূর্ণ হতে দেরি হলে কর্মক্ষেত্রে যোগ দেওয়া যাবে কী করে— এই সব উদ্বিগ্ন প্রশ্ন পড়ুয়াদের মানসিক চাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষত যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ ধাপে দাঁড়িয়ে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের অপেক্ষা করছেন, তাঁদের উৎকণ্ঠা সমধিক। ভয়াল ভাইরাসের বিশ্বব্যাপী হানাদারিতে কাজের বাজারের পরিস্থিতি কতটা শোচনীয় হয়ে উঠতে পারে, সেই দুশ্চিন্তা ঘিরে ধরছে তাঁদের। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের তুলনায় বয়সে কিছুটা বড় বলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মনের উপরে এই সব প্রশ্ন ও দুর্ভাবনার অভিঘাত অনেক বেশি। তাই তাঁদের জন্য কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজন আছে।
শুধু ছাত্রছাত্রী নয়, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের জন্যও ইতিমধ্যে এই ধরনের কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করেছে সিধো-কানহু-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়। কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের মানসিক চাপ কমানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ এবং নিউ আলিপুর কলেজেও।
হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার বা হাতশুদ্ধি, মাস্ক বা মুখাবরণের মতো সাজসরঞ্জাম জুগিয়ে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধেও শামিল হয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। সোনালিদেবী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ তৈরি করছে হাতশুদ্ধি। জুট ও টেকনোলজি বিভাগ মুখাবরণ তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সেই সব হাতশুদ্ধি ও মুখাবরণ বিলি করা হবে।
সাউথ পয়েন্ট স্কুলের পক্ষে কৃষ্ণ দামানি এ দিন জানান, লকডাউন পর্বে অনলাইনে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে তাঁরা অ্যাপ এবং পোর্টালের সাহায্য নিচ্ছেন। অনলাইনে পড়ুয়াদের পরীক্ষার ফল জানানো হয়েছে। শুরু হচ্ছে অনলাইন পঠনপাঠন। পড়ুয়াদের পাঠ্যবইয়ের ‘সফট কপি’ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে দামানি জানান, তাঁদের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা নিজেদের বেতন থেকে মোট পাঁচ লক্ষ ৪২ হাজার ৪৩৯ টাকা রাজ্য সরকারের করোনা ত্রাণ তহবিলে দান করেছেন।
এ দিন পশ্চিমবঙ্গ স্কুল পরিদর্শক সমিতির পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের করোনা ত্রাণ তহবিলে তিন লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। সমিতির পক্ষে কালীপদ সানা জানিয়েছেন, পরে আবার তহবিলে অর্থ দেবেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy