প্রতীকী ছবি।
লকডাউনের মেয়াদ লম্বা হওয়ায় তীব্র আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন বেসরকারি পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত চালক এবং অন্য কর্মীরা। এই অবস্থায় বাসকর্মীদের জন্য সরকারি সাহায্য চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছে বাসমালিকদের একাধিক সংগঠন।
লকডাউনের শুরুর দিকে একাধিক বাস-মিনিবাস মালিক সংগঠনের তরফে বাসকর্মীদের চাল, ডাল, আলুর মতো কিছু উপকরণ কিনে দিয়ে সাহায্য করা হলেও, দীর্ঘ মেয়াদে তা যে সম্ভব নয় তা মানছেন বাসমালিকদের একটি বড় অংশই। বাসমালিকদের অনেকেও আর্থিক সঙ্কটে ভুগছেন।
অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বেসরকারি পরিবহণের হাল খুব খারাপ। সঞ্চয় ভেঙে পরিবার চালাচ্ছেন সকলেই। পরিস্থিতির কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি।’’
ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসুও জানান একই সমস্যার কথা। তাঁরাও এ নিয়ে সরকারকে চিঠি লিখেছেন।
লকডাউনে বেসরকারি বাস, মিনিবাস ছাড়াও অ্যাপ-ক্যাব, ট্যাক্সি এবং অটোচালকদের মাসখানেক ধরে রোজগার বন্ধ। পরিস্থিতি সামলাতে পরিবহণকর্মীদের অনেকেই বিকল্প পথে আয় করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন। এ ভাবে আরও কত দিন চলবে তা নিয়ে সবাই রীতিমতো চিন্তায়।
জরুরি পরিষেবার কাজে অ্যাপ-ক্যাব এবং কিছু ট্যাক্সিকে চলার অনুমতি দেওয়া হতে পারে শুনে সামান্য আশার আলো দেখেছিলেন চালকেরা। ভাগাভাগি করে ওই সুবিধা পাওয়ার আশা ছিল অনেকের। কিন্তু সংক্রমণের আশঙ্কার কথা বিবেচনা করে এ নিয়ে এখনও সরকারের পক্ষ থেকে কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়নি। প্রবল আর্থিক সঙ্কটের মুখে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যসচিবকে দুর্দশার কথা জানিয়ে চিঠি লিখেছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
কলকাতা এবং শহরতলির কয়েক হাজার অটোচালক লকডাউনের জেরে প্রবল সঙ্কটে। গড়িয়া-গড়িয়াহাট রুটে শাসক দলের অটোচালক সংগঠনের নেতা দেবরাজ ঘোষ জানান, তাঁদের সংগঠনের পক্ষ থেকে চালকদের চাল, ডাল, আলু কিনে দেওয়া হয়েছে। তবে, সরকারি সাহায্য না মিললে পরিস্থিতি সামলানো অসম্ভব। বহু অটোচালক ফেরিওয়ালার কাজ করছেন। তাঁদের অনেকেরই বাড়িতে অসুস্থ বাবা-মা ছাড়াও স্কুল-পড়ুয়া সন্তান রয়েছে। খরচ সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে সবাইকে। স্কুলগাড়ি চালকদের অবস্থাও তথৈবচ। পরিস্থিতি সামলাতে ২৫ শতাংশ ছাড় দিয়ে অভিভাবকদের কাছে স্কুলগাড়ির ভাড়া চাইছেন মালিকেরা।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy