বৈশাখী আকাশে বৃষ্টির আশ। রবিবার সকালে, কেষ্টপুরে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
ছুটির সকালে আকাশে জমাট কালো মেঘের আনাগোনা দেখে আশায় বুক বেঁধেছিলেন অনেকেই। কিন্তু বেলা গড়াতেই বোঝা গেল, সেটা নেহাতই ‘মরীচিকা’! কালবৈশাখীর দামাল ঝড় ও বৃষ্টি দূরের কথা, ওই মেঘ থেকে ছিটেফোঁটা বৃষ্টিও ঝরল না। হাওয়া অফিস বলছে, আগামী দিন দুয়েকের মধ্যে কালবৈশাখীর জোরালো সম্ভাবনা নেই। বরং আজ, সোমবার থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া মন্ত্রকের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা, রবিবার রাতে বঙ্গোপসাগরে দানা বেঁধেছে নতুন ঘূর্ণিঝড় ‘মারুত’ (শ্রীলঙ্কার দেওয়া নাম)। তার প্রভাবেই দখিনা বাতাস জোরালো হয়ে উঠেছে। সেই বাতাস পশ্চিমবঙ্গের পরিমণ্ডলে জলীয় বাষ্প ঢুকিয়েছে। আর সেই বাষ্পই ঘনীভূত হয়ে মেঘ তৈরি করেছিল। কিন্তু মেঘের ঘনত্ব বৃষ্টি নামানোর পক্ষে যথেষ্ট ছিল না। কালবৈশাখী বা বৃষ্টির অনুকূল ছিল না আনুষঙ্গিক বায়ুপ্রবাহও।
রেডার-চিত্র বিশ্লেষণ করে আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, এ দিন ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড সীমানায় একটি বজ্রগর্ভ মেঘপুঞ্জ দানা বেঁধেছিল। কিন্তু তা দক্ষিণবঙ্গে আসেনি। মৌসম ভবনের খবর, ঘূর্ণিঝড় মারুত মায়ানমারের উপকূলে আছড়ে পড়লেই তার প্রভাব কমে যাবে। তার ফলে কমবে দখিনা বাতাসের জোরও। তার প্রভাব পড়বে তাপমাত্রাতেও। ‘‘সোমবার থেকে দিনের তাপমাত্রা এক ডিগ্রির মতো বাড়তে পারে,’’ বলেন সঞ্জীববাবু। তবে পশ্চিমাঞ্চলে বিক্ষিপ্ত ভাবে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy