ফাইল চিত্র।
করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য পরিষেবায় লোকবল বাড়াতে চিকিৎসক, নার্স ও মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান পদে নিয়োগ শুরু করল রাজ্য। দ্রুত লোকবল বাড়াতে সরাসরি সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে (ওয়াক ইন ইন্টারভিউ) চিকিৎসক ও মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রক্রিয়া শুরু হল। ভবিষ্যতে অনেক লোক এই পদ্ধতিতে নেওয়া হবে। কারণ, আমাদের চিকিৎসক, মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান প্রয়োজন হবে।’’
বৃহস্পতিবার মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ জানান, পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য নিয়োগ পর্ষদ এবং পুর-পরিষেবা নিয়োগ কমিশনের মাধ্যমে সরাসরি নিয়োগ করা হবে। প্রাথমিক ভাবে ৫৩ জন চিকিৎসক এবং ১৮ জন টেকনিশিয়ান নেওয়া হবে। স্বাভাবিক সময়ে যে পদ্ধতিতে নিয়োগ হয়, তাতে সময় বেশি লাগে। এখন করোনা সামলাতে লোকবল প্রয়োজন। তাই দ্রুত নিয়োগের জন্য এই সিদ্ধান্ত। এ দিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরও ৫০০ হাউস স্টাফের পদ তৈরি করা হয়েছে বলেও মুখ্যসচিব জানান।
স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নত করতে আড়াই হাজার চিকিৎসক ও প্রায় সাড়ে চার হাজার নার্স নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই এই নিয়োগ বলে স্বাস্থ্যকর্তারা জানান। স্বাস্থ্য নিয়োগ পর্ষদ ইতিমধ্যেই নার্সদের ইন্টারভিউ শুরু করেছে। চিকিৎসকদের নিয়োগ হবে মেডিক্যাল অফিসার (স্পেশালিস্ট) ও জেনারেল ডিউটি মেডিক্যাল অফিসার (জিডিএমও) পদে। সেই নিয়োগ আগামী মাসে শুরু হবে এবং পুজোর আগে শেষ হবে। তার ফলে পুজোর পরেই এক ধাক্কায় লোকবল অনেক বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের খবর, নার্সের চাকরির জন্য সাড়ে আট হাজার আবেদন জমা পড়েছে। জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাছাই করা প্রায় সাড়ে চার হাজার চাকরিপ্রার্থীকে পুজোর আগেই নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। এই নিয়োগ রাজ্যের যে কোনও প্রান্তে হতে পারে। এটা চিকিৎসকদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
প্রশাসনের খবর, প্রায় সব জেলায় সরকারি হাসপাতালে বহু পদ খালি। তার উপরে কোভিড চিকিৎসা করতে গিয়ে অনেক জায়গায় চিকিৎসক, নার্স বা টেকনিশিয়ানরাও করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে বাকিদের উপরে চাপ বাড়ছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হলে সেই চাপ অনেকটাই দূর হবে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যকর্তাদের একাংশ। স্বাস্থ্য নিয়োগ পর্ষদের অফিসে ইন্টারভিউয়ের ক্ষেত্রেও পারস্পরিক দূরত্ব-বিধি ও সুরক্ষা ব্যবস্থা মেনে চলা হচ্ছে। চাকরিপ্রার্থীদের মাস্ক, ফেস শিল্ড পরা বাধ্যতামূলক। সানিটাইজ়ার টানেল দিয়ে জীবাণুমুক্ত করার পরেই তাঁদের বোর্ডের সামনে যেতে দেওয়া হচ্ছে। প্রার্থীদের নথিপত্র যাচাইয়ের আগে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy