প্রতীকী ছবি।
দেশ জুড়ে বিতর্ক, আপত্তি, আইনি লড়াইয়ের পরে করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে আজ, ১ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবারেই শুরু হচ্ছে সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেন পরীক্ষা (জেইই)। ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরীক্ষা হবে সকাল ও দুপুর দুই শিফটে।
কেন্দ্র জেইই-র ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে কোনও দায়িত্ব না-দেওয়ায় তাঁদের তরফে এই পরীক্ষার জন্য কোনও রকম প্রস্তুতির প্রশ্ন নেই বলে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় রবিবার জানিয়েছিলেন। তবে সোমবার রাজ্য সরকার জানায়, তাদের পরিবহণ নিগম সব জেলাতেই পরীক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত বাসের ব্যবস্থা করেছে। জেলায় জেলায় উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের সব উল্লেখযোগ্য ডিপোয় ভোর ৫টা থেকে বাস চলাচল শুরু হবে। এ ছাড়াও যথেষ্ট বেসরকারি বাস, অটো, ট্যাক্সি যাতে চলে, জেলা পরিবহণ দফতর সে-দিকে নজর রাখছে। বাস না-পেলে বা অন্য অভিযোগ থাকলে পরিবহণ দফতরের কন্ট্রোল রুমে টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করা যেতে পারে। ফোন নম্বর ১৮০০৩৪৫৫১৯২।
সরকারের তরফে বাস দেওয়া হলেও পরীক্ষার্থীদের বড় অংশের প্রশ্ন, বাসে বা পরীক্ষাকেন্দ্রে সংক্রমণ এড়ানো যাবে কী ভাবে? অনেক পরীক্ষার্থীই বলছেন, করোনা আবহে পরীক্ষা দেওয়া ঠিক হবে কি না, সেই বিষয়ে প্রবল দ্বিধায় ভুগছেন তাঁরা। তবে কেউ কেউ বলছেন, পরীক্ষা নিয়ে টানাপড়েনে পড়াশোনায় তাঁদের মনোযোগ শিথিল হয়ে পড়ছিল। তাই পরীক্ষা হয়ে যাওয়াই ভাল।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার পিয়ালির বাসিন্দা অরণ্য নস্কর জানান, তাঁর পরীক্ষা ৩ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার। পরীক্ষা কেন্দ্র সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে। “গাড়ি ভাড়া করে যেতে হবে। এ ছাড়া আর তো কোনও উপায় দেখছি না। বাস চলবে শুনছি। কিন্তু বাসে চেপে যাওয়া কতটা নিরাপদ, সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। পরীক্ষার হলেই বা কতটা পারস্পরিক দূরত্ব মেনে পরীক্ষা হবে, চিন্তা হচ্ছে তা নিয়েও,” বলেন অরণ্য। সেক্টর ফাইভে পরীক্ষা হবে বারুইপুরের অর্ণব সাধুখাঁরও। তিনি বললেন, “এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় ভাবে কোনও কেন্দ্রে পরীক্ষার আয়োজন করলে ভাল হত। তা ছাড়া দু’টি শিফটে পরীক্ষা হলে পরীক্ষা কেন্দ্রে ভিড় হয়ে যাবে। অতিমারির কথা ভেবে পরীক্ষা কি এক শিফটে নেওয়া যেত না?”
করোনার দাপটের জন্যই এ বার পরীক্ষায় বসছেন না আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা দীপাঞ্জন দাস। তিনি বললেন, “আমার পরীক্ষা কেন্দ্র বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে, শিলিগুড়িতে। সংক্রমণের আশঙ্কায় বাড়ির লোকজন এত দূরে ছাড়তে চাইছে না। গাড়ি ভাড়া করতেও তো অনেক টাকা খরচ হয়ে যাবে। তাই এ বার পরীক্ষা দেওয়া হচ্ছে না।” হুগলির উত্তরপাড়ার বাসিন্দা অনঘ দত্ত বলেন, “জানুয়ারিতে সর্বভারতীয় জয়েন্ট দেওয়ার সময় দুই বন্ধু মিলে একটা গাড়িতে গিয়েছিলাম। বাবা ট্রেনে পরীক্ষা কেন্দ্রে যান। এ বার তো সেটা সম্ভব নয়। আলাদা গাড়িতে যেতে হবে। সকাল ৯টায় পরীক্ষা শুরু। রিপোর্টিং টাইম ৭টা। এত সকালে বাস পাব কি? তাই গাড়িই ভরসা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy