ফাইল চিত্র।
বিনা পয়সায় স্কুলশিক্ষার কথা ফলাও করে বলা হলেও উন্নয়ন ফি হিসেবে পড়ুয়াদের এখনও কিছু টাকা দিতেই হয়। সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে এ বার সেই উন্নয়ন ফি মকুবের কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে এ কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী ওই সব স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন অবৈতনিক। কিন্তু রাজ্য সরকারের ২০১১ সালের নির্দেশ অনুযায়ী স্কুল চালানোর জন্য কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের কাছে থেকে সর্বোচ্চ ২৪০ টাকা নিতে পারেন। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই ২৪০ টাকা আস্তে আস্তে কমানো যায় কি না, তা দেখা হবে। মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে বলেন, ‘‘আমাদের গরিবের সরকার। টাকাপয়সা বেশি নেই। তার মধ্যেই হিসেব করে চালাতে হয়। আমি খুশি, এর মধ্যে সরকারি স্কুলগুলোতে বিনি পয়সায় পড়াশোনা চলছে।।’’ তার পরেই তিনি স্কুলশিক্ষা সচিবের কাছে জানতে চান, স্কুলপড়ুয়াদের এখন কোনও টাকা দিতে হয় কি না। স্কুলশিক্ষা সচিব জানান, উন্নয়ন ফি বাবদ প্রত্যেক পড়ুয়াকে বছরে ২৪০ টাকা দিতে হয়। মুখ্যমন্ত্রী তখন এই ফি মকুবের ভাবনার কথা জানান। বই, জুতোর সঙ্গে সঙ্গে সরকার এ দিন স্কুলপড়ুয়াদের ব্যাগ, খাতা বিতরণের কাজও শুরু করে দিল।
বিভিন্ন স্কুলের কর্তৃপক্ষ জানিয়ে আসছেন, উন্নয়ন ফি হিসেবে পড়ুয়া-পিছু বছরে মাত্র ২৪০ টাকা নিয়ে স্কুল চালানো অসম্ভব। বিদ্যুতের বিল, কম্পিউটার শিক্ষকের বেতন, নৈশ প্রহরী, ঝাড়ুদারদের খরচ বহন
করতে হয় স্কুল-কর্তৃপক্ষকেই। এই অবস্থায় পড়ুয়াদের কাছ থেকে উন্নয়নের ওই ২৪০ টাকা নেওয়া
বন্ধ হয়ে গেলে পরিস্থতি আরও
কঠিন হয়ে পড়বে। অনেক সময়েই পড়ুয়াদের নামে টাকা না-নিয়ে অভিভাবকদের কাছ থেকে ডোনেশন হিসেবে কিছু নেওয়া হয়। তাতেই কোনও ভাবে স্কুল চলে।
বেসরকারি স্কুলে আকাশছোঁয়া ফি বন্ধ করতে উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার জন্য তৈরি হয়েছে সেল্ফ রেগুলেটরি কমিটি। তারই মধ্যে যে-সব সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি (বছরে ২৪০ টাকার বেশি) নেওয়ার অভিযোগ উঠছে, তাদের তালিকা তৈরির প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছে শিক্ষা দফতর। এ বার মুখ্যমন্ত্রী বছরে উন্নয়ন ফি হিসেবে নেওয়া ২৪০ টাকা মকুবের ভাবনার কথা জানানোয় পড়ুয়া-অভিভাবকেরা অবশ্য আশার আলো দেখছেন।।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy