—ফাইল চিত্র।
রাস্তা দেখভালের দায়দায়িত্ব কার, তার বিজ্ঞাপনে কোনও খামতি রাখছে না রাজ্য সরকার। সমানে চলেছে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ বা ‘সামলে চালাও, জান বাঁচাও’ প্রচারও। কিন্তু সেই তুলনায় পথ-নিরাপত্তায় অতি জরুরি ইন্ডিয়ান রোড কংগ্রেসের নির্দেশিকা বাংলায় ততটা গুরুত্ব পাচ্ছে না। এ বার সেই নির্দেশিকা মানা বাধ্যতামূলক করল রাজ্য। সম্প্রতি মুখ্যসচিবের নেতৃত্বাধীন পথ নিরাপত্তা কমিটি রাস্তা তৈরির সঙ্গে যুক্ত দফতরগুলিকে এই নির্দেশ দিয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর।
প্রশাসনিক সূত্রের ব্যাখ্যা, ইন্ডিয়ান রোড কংগ্রেস পথ-নিরাপত্তায় কিছু ‘কোড’ বা নিয়মবিধি নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। কোথায় গাড়ির গতি মন্থর করতে হবে, কোথায় ‘ওভারটেক’ করা যাবে এবং কোথায় তা করা যাবে না, রাস্তার ট্র্যাফিক বিভাজন কোথায় কেমন, রাস্তা কোন দিকে ঘুরছে, কোথায় রাস্তা সরু বা সঙ্কীর্ণ, কোথায় আছে সেতু-কালভার্ট— নিরাপদে গাড়ি চালানোর জন্য প্রতিটি রাস্তায় এই সব বিষয়ে নির্দেশ-হুঁশিয়ারি দেওয়ার কথা। কিন্তু সড়ক বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, জাতীয় সড়কগুলিতে এই বিধি মানা হলেও রাজ্য সড়কগুলির সর্বত্র এটা যথাযথ ভাবে মেনে চলা হচ্ছে না। সেই জন্য সাম্প্রতিক এক নির্দেশিকায় ইন্ডিয়ান রোড কংগ্রেসের এই বিধিকে মান্যতা দেওয়া আবশ্যিক করা হয়েছে। পূর্ত দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘বিভিন্ন রাজ্য সড়কের কোনওটাতেই এই বিধি মানা হচ্ছে না, এমনটা নয়। বলা ভাল, রাজ্য সড়কের একাংশে এই বিধি বলবৎ করতে হবে। পথ-নিরাপত্তা নিয়ে যে-ভাবে উদ্বেগ ও আশঙ্কা বাড়ছে, তাতে ইন্ডিয়ান রোড কংগ্রেসের নির্দিষ্ট নিয়মবিধির বাধ্যতামূলক প্রয়োগ জরুরি।’’
রাস্তায় ‘ক্যাটস আই’ প্রযুক্তি বাধ্যতামূলক করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ‘ক্যাটস আই’ মানে ধাতব একটি যন্ত্র, যা রাস্তার মাঝবরাবর অথবা দু’পাশে নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর বসিয়ে দেওয়া হয়। অন্ধকারে এমন পথে গাড়ি চালালে রাস্তার বিভাজন চালকের কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও কমে।
নির্দেশিকা জারির পাশাপাশি তা বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না, সেই ব্যাপারে নজরদারির ব্যবস্থাও হয়েছে। ইন্ডিয়ান রোড কংগ্রেসের বিধি বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য দায়বদ্ধ করা হয়েছে আধিকারিকদের। সংশ্লিষ্ট ডিভিশনগুলির (এক্তিয়ারভুক্ত এলাকা) সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ারেরা নির্দিষ্ট সময় অন্তর সেগুলি খতিয়ে দেখবেন। জোনাল চিফ ইঞ্জিনিয়ারেরা এবং চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে পুরো বন্দোবস্ত খতিয়ে দেখতে হবে।
প্রশাসনের আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নির্দেশিকাটি পূর্ত দফতরের তরফে জারি করা হলেও কেএমডিএ এবং কলকাতা পুরসভার মতো প্রতিষ্ঠান, যারা রাস্তার দেখভাল করে, বিষয়টি তাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হতে পারে ভবিষ্যতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy