ফাইল চিত্র।
জাতীয় শিক্ষানীতি সম্পূর্ণ বর্জন করে নিজস্ব শিক্ষানীতি তৈরি করছে রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সোমবার বিধানসভায় শিক্ষা বাজেট নিয়ে জবাবি ভাষণে বলেন, ‘‘জাতীয় শিক্ষানীতির কোনও অংশই আমরা মানছি না। আমরা রাজ্যের আলাদা শিক্ষানীতি তৈরি করছি। তার জন্য বামপন্থী, দক্ষিণপন্থী, এমনকি মনোজ টিগ্গার দলের লোকেদের সঙ্গেও কথা বলেছি।’’
বিধানসভায় এ দিন শিক্ষা বাজেট নিয়ে আলোচনায় কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্র বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়া রাজ্যগুলিকে পাঠিয়ে সংশোধনী দিতে বলেছে। আমাদের রাজ্য কোন কোন অংশে সংশোধনী দিল, তা মন্ত্রী জানান।’’ তারই জবাবে পার্থবাবু জাতীয় শিক্ষানীতি পুরো বর্জন করে রাজ্যের পৃথক শিক্ষানীতি তৈরির কথা জানান। অসিতবাবু-সহ একাধিক বাম ও কংগ্রেস বিধায়ক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ওঠার প্রসঙ্গ তুলে শিক্ষার বেসরকারিকরণের বিরোধিতা করেছিলেন। সে প্রসঙ্গে পার্থবাবুও বলেন, ‘‘আমরা যেন বেসরকারিকরণের লক্ষ্যে না যাই।’’
শিক্ষা বাজেটের আলোচনায় সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য প্রস্তাব দেন, ভগৎ সিংয়ের ‘ধর্ম ও নাস্তিকতা’ এবং জওহরলাল নেহরুর ‘লেটারস ফ্রম এ ফাদার টু হিজ ডটার’ বই দু’টি পাঠ্যক্রমে ঢোকানো হোক। জবাবি ভাষণে পার্থবাবু বলেন, ‘‘ভাল প্রস্তাব। এ বিষয়ে আমি সিলেবাস কমিটির সঙ্গে কথা বলব।’’
কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতো বলেন, ‘‘সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে কম্পিউটার শিক্ষকের অভাব রয়েছে। ওই শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে স্কুলের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। না হলে কম্পিউটার পড়ানো কঠিন হয়ে যাবে।’’ পার্থবাবু অবশ্য জানান, দু’হাজার স্কুলকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলিতে পরীক্ষার মাধ্যমেই কম্পিউটার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। তন্ময়বাবু প্রশ্ন তুলেছিলেন, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কেন শিক্ষাগত যোগ্যতাকে গুরুত্ব না দিয়ে শুধু লিখিত পরীক্ষার উপরেই নির্ভর করা হবে? পার্থবাবু বলেন, ‘‘জয়েন্ট এন্ট্রান্সেও তা-ই হয়। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও লিখিত পরীক্ষায় যোগ্যতা প্রমাণ করেই আসতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy