পথ নিরাপত্তা। প্রতীকী চিত্র।
পথ নিরাপত্তা-নিরীক্ষা শুরু করছে রাজ্য সরকার। দিন দুয়েক আগে সুপ্রিম কোর্টে পথ নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকের পরে পূর্ত দফতরকে এই নিরীক্ষণের কাজ দ্রুত শুরুর নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসনের শীর্ষ মহল। জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়ক এবং জেলা সড়কগুলিতে পৃথক ভাবে এই কাজ করা হবে। প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, দুর্ঘটনা প্রবণতার দিক থেকে রাজ্যে ‘ব্ল্যাক স্পট’-এর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সব রাস্তার মান নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে নতুন করে।
দুর্ঘটনার প্রবণতা, সংখ্যা, মাত্রার উপর নির্ভর করে কোনও এলাকাকে ‘ব্ল্যাক স্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। রাজ্য সড়কের উপর এই চিহ্নিতকরণের কাজ করে রাজ্য সরকার। জাতীয় সড়কের উপর সেই দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও হাইওয়ে মন্ত্রকের। প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী এখন রাজ্যে ব্ল্যাক স্পটের সংখ্যা প্রায় ১২৫০। সেই কারণে নতুন করে নিরীক্ষার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘জাতীয়, রাজ্য বা জেলা সড়কগুলি যখন তৈরি হয়েছিল, তখনকার তুলনায় এখন যানবাহনের সংখ্যা অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে। ফলে বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রতিটি রাস্তা খতিয়ে দেখতে হবে। প্রধানত কারিগরি দিক থেকে এই সমীক্ষার কাজ করবেন পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা।’’
সড়ক বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, প্রতিটি রাস্তার নিজস্ব চরিত্র থাকে। যেমন রাস্তার ঢাল, বাঁক ইত্যাদি। একটি রাস্তার সঙ্গে আর একটি রাস্তার সংযোগস্থলের গুরুত্বও অনেক বেশি। নতুন নতুন অনেক রাস্তা তৈরি হওয়ার ফলে প্রধান রাস্তাগুলিতে ‘ক্রসিং’-এর সংখ্যা আগের থেকে অনেক বেড়ে গিয়েছে। এই বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে এই সব বিষয়গুলি মানানসই রয়েছে কি না, তাই খতিয়ে দেখবেন ইঞ্জিনিয়ারেরা। তাঁদের জমা দেওয়া রিপোর্টের পরে প্রয়োজনীয় পরিমার্জনের সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
সরকারি সূত্রের দাবি, গত তিন বছরে রাজ্যে পথ দুর্ঘটনার হার ক্রমশ কমেছে। ২০১৭ সালে এই হার ছিল ১৪%। ২০১৮ সালে দুর্ঘটনার হার ১১%। চলতি বছর তা কমে হয়েছে ৯%।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy