প্রতীকী ছবি।
বেতন কমিশনের সুপারিশ কী ভাবে কার্যকর হবে, ‘এরিয়ার’ মিলবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কর্মচারী মহলে। রয়েছে নানা ধন্দও। কর্মচারী সংগঠনগুলির মতে, বেতন কমিশনের সুপারিশ হুবহু মেনে সরকার রিভিশন অব পে অ্যান্ড অ্যালাওয়েন্স (রোপা) বিধানসভায় পাশ করবে, নাকি ইমপ্লিমেন্টেশন কমিটির মাধ্যমে সেই প্রস্তাবে নতুন করে কিছু পরিমার্জন হবে, তার উপরে সব কিছু নির্ভর করছে।
২০০৬ সালে বাম সরকার বেতন কমিশনের সুপারিশ পুরোপুরি মেনে নিয়েছিল। ২০০৮ সালের ১ এপ্রিল থেকে সেই বেতন কমিশন কার্যকর হয়েছিল। তবে সেই ২৭ মাসের ‘এরিয়ার’ বিগত সরকার দেয়নি বলেই অভিযোগ কর্মচারীদের। তবে চার কিস্তির মহার্ঘ্য ভাতা ২০০৮ এবং ২০০৯ সালে তিনটি কিস্তিতে কর্মীদের দিয়েছিল তৎকালীন সরকার। বর্তমান সরকারের আমলে ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নতুন বেতন কমিশনের প্রস্তাব কার্যকর হওয়ার কথা। সরকার যদি প্রস্তাব গ্রহণের কমিটি তৈরি করে, তা হলে তারাই স্থির করবে বেতন কমিশনের সুপারিশ হুবহু মানা হবে কি না। একইসঙ্গে ঠিক হবে, সুপারিশ মানা হলে কী ভাবে কর্মীরা বিগত দিনের ‘এরিয়ার’ পাবেন। ফলে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকের দিকেই লক্ষ্য রাখছে কর্মচারী মহল।
বস্তুত, শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রী নিজের ঘোষণায় ইঙ্গিত দিয়েছেন, কমিশনের সুপারিশ মন্ত্রিসভায় আলোচনা ছাড়াও প্রক্রিয়াগত অনেকগুলি দিক রয়েছে।
কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্টস এমপ্লয়িজ (আইএনটিইউসি)-এর সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘২০১৬ সালের বেতন কমিশন ২০২০ সালে হাতে পাবেন কর্মীরা। কেন তাঁরা প্রশ্ন তুলবেন না, ৪ বছরের বকেয়া কোথায় গেল? বাম সরকার ২ বছরে ৩৫% দিয়েছিল। বর্তমান সরকার ৮ বছরে ৯০% মহার্ঘ ভাতা দিয়েছে। তাতে ১২৫% শতাংশ মহার্ঘ ভাতা হয়েছে। সরকার যে ৭০০০ টাকার বেতনকে ১৭৯৯০ টাকা দেখিয়েছেন, তার মধ্যে ডিএ-র পরিমাণ ৮৭৫০ টাকা। ফলে বেতন বৃদ্ধি মাত্র ২২৪০ টাকা।’’
তৃণমূল প্রভাবিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের আহ্বায়ক সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এ সব আনুমানিক প্রতিক্রিয়া। কর্মচারীদের অনেক প্রশ্ন থাকতেই পারে। কিন্তু ২৩ তারিখে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রস্তাব গৃহীত না-হওয়া পর্যন্ত এবং বেতন কমিশনের সুপারিশ পুরোপুরি না-জেনে বিষয়টি বলা সম্ভব নয়।’’ বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতার কোনও ঘোষণা কেন হল না, তা নিয়েও জল্পনা দানা বেঁধেছে। কর্মীদের অনেকের প্রশ্ন, মহার্ঘ ভাতা নিয়ে রাজ্য অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের রায়ের (স্যাট) বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার পাল্টা মামলা এখনও করেনি। এমনকি, স্যাটের রায় মানা হবে কি না, তা-ও স্পষ্ট করা হয়নি। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের মহার্ঘ্য ভাতার তুলনায় রাজ্যের ডিএ-এর ফারাক থেকেই গিয়েছে। তবে প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, স্যাট জানিয়েছিল, কত ডিএ, তা ৩ মাসে নির্ধারণ করে ৬ মাসে কার্যকর করতে হবে। রাজ্যকে বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে ১ বছরে। ফলে স্যাটের রায়ের বিরুদ্ধে আইনের দ্বারস্থ হওয়া অথবা মেনে নেওয়ার সময়সীমা এখনও পেরিয়ে যায়নি বলেই জানাচ্ছেন প্রশাসনের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy