Advertisement
১৩ নভেম্বর ২০২৪
Kolkata Doctor Rape and Murder

‘মাতৃরূপেণ’ হাজির চাপে থাকা রাজ্য পুলিশ! তারা মেয়ের বাবার পাশাপাশি জননীও, বার্তা বাহিনীর

পুলিশের সঙ্গে প্রতিবাদীদের স্লোগানের লড়াই থামাতে নতুন পদক্ষেপ। রাজ্য পুলিশের পক্ষে রবিবার পুলিশ দিবসে একটি পোস্ট করা হয়েছে সমাজমাধ্যমে। যা থেকেও নতুন বিতর্কের জন্ম হতে পারে।

West Bengal claims Police is also mother of girl child

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৭
Share: Save:

আরজি কর-কাণ্ডের পরে পুলিশের সঙ্গে প্রতিবাদীদের দূরত্ব ক্রমেই বেড়ে চলেছে। আর তাতে দৃশ্যতই ‘চাপে’ কলকাতা-সহ রাজ্যের পুলিশবাহিনী। বারংবার পুলিশের পক্ষ থেকে সমাজমাধ্যমে জবাব দিতে হচ্ছে। গত কিছু দিন ধরে পুলিশকে ‘কন্যাসন্তানের পিতা’ হিসাবে উল্লেখ করে স্লোগান উঠেছে প্রতিবাদীদের মুখে। তার পাল্টা ‘পিতা পুলিশ’ জবাবও দিয়েছে। এ বার বাহিনীর তরফে দাবি করা হল, তারা শুধুই কন্যাসন্তানের পিতা নয়, জননীও।

প্রতি বছর রাজ্যে সেপ্টেম্বরের প্রথম দিনটি ‘পুলিশ দিবস’ হিসাবে পালিত হয়। রবিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশ দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের এবং তাঁদের পরিবারের ত্যাগের কথাও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পরেই রাজ্য পুলিশের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর পোস্টটি শেয়ার করা হয়। আর তার পরে পুলিশের তরফে একটি পৃথক পোস্ট করা হয়েছে। সেখানেই পুলিশের পক্ষে লেখা হয়েছে, ‘‘গোটা বিশ্বেই পুলিশ মানে সাহসী পুরুষ ও মহিলার সমন্বয়। বড় হচ্ছে এমন মেয়ের শুধু বাবা নই, আমরা জননীও।’’ সেই পোস্টে এটাও লেখা হয়েছে যে, এই বার্তা পুলিশ এবং তাঁদের কন্যাদের নিয়ে স্লোগান লেখার সময়ে প্রতিবাদীদের সাহায্য করতে পারে।

West Bengal claims Police is also mother of girl child

ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।

প্রসঙ্গত, আরজি করের ঘটনার পরে পুলিশের প্রতি ক্ষোভে আন্দোলনকারীরা স্লোগান তুলেছিলেন, ‘পুলিশ তুমি চিন্তা করো, তোমার মেয়েও হচ্ছে বড়’। কলকাতা ছাড়িয়ে সেই স্লোগান ছড়িয়ে পড়েছিল জেলাতেও। সেটা বাড়তে থাকায় পুলিশের তরফেও পাল্টা প্রচার শুরু হয়। অনেকে সমাজমাধ্যমে পাল্টা পোস্টে লিখেছেন, ‘‘পুলিশের মেয়ের চিন্তা ছাড়ো, সে লড়াই করেই হচ্ছে বড়।’’ পুলিশকর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ারেরা ঝড়ের গতিতে সেই পোস্ট শেয়ার করতে থাকেন। কেউ কেউ এমনটাও লেখেন যে, ‘‘পুলিশের মেয়ের চিন্তা ছাড়ো, সে লড়াই করেই হচ্ছে বড়। হচ্ছে বড় ছেলেও তোমার, তার দায়ও কি পুলিশের একার?’’ তবে নেটাগরিকেরাও জবাব দিতে দেরি করেননি। এক জন লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে যেখানে পুলিশের মেয়েকেই লড়াই করে বাঁচতে হচ্ছে, সেখানে সাধারণ মেয়েরা লড়াই না করে বাঁচবে, সেটা ভাবা বিলাসিতা মাত্র।’’

পুলিশ বনাম প্রতিবাদীদের সেই কাদা ছোড়াছুড়িতে এ বার নতুন মাত্রা এনে দিল নতুন পোস্ট। রাজ্য পুলিশের ‘মাতৃরূপেণ’ পোস্ট নিয়েও প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করেছেন অনেকে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE