অগ্নিসুরক্ষা ব্যবস্থা মজবুত করতে বাজার, মল, নার্সিংহোম-সহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক কেন্দ্রে প্রতি বছর ফায়ার অডিট বাধ্যতামূলক হতে চলেছে। মঙ্গলবার বিধানসভা অধিবেশনে এ কথা জানান রাজ্য দমকল দফতরের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এ দিনের অধিবেশনে বাগড়ি মার্কেটের অগ্নিকাণ্ড এবং তার পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে ওঠা প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘যে কোনও বহুতল, শপিং মল, বাজার বা ব্যবসায়িক কেন্দ্রকে বছরে এক বার বাধ্যতামূলক ভাবে ফায়ার অডিট করাতে হবে। না হলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার দমকলের ছাড়পত্র বাতিল হয়ে যাবে।’’ তিনি আরও জানান, প্রয়োজনে এ ব্যাপারে আইন আনা হতে পারে।
এ দিনের অধিবেশনে কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্রের প্রশ্ন ছিল, ‘‘রাজ্যে এ বছর কতগুলি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে? বাগড়ি মার্কেটে আগুন লাগার পরে অগ্নিনির্বাপণের ক্ষেত্রে দমকল দফতর কী ব্যবস্থা নিয়েছে?’’ দমকলমন্ত্রী বলেন, ‘‘চলতি বছরে রাজ্যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ৪৬২৯টি। পাশাপাশি তিনি জানান, যেখানে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রপাতি থাকবে, সেগুলি ব্যবহারের উপযুক্ত কি না, তা হাতেকলমে পরীক্ষা করে দেখাটাও এ বার নিয়মের মধ্যে আনতে চায় দমকল দফতর।’’ তাঁর কথায়, ‘‘তিন মাসে অন্তত এক বার সেগুলি পরীক্ষা করে দেখাটা বাধ্যতামূলক করা হবে।’’
মন্ত্রীর কথা শুনে শিলিগুড়ির মেয়র তথা সিপিএমের বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য বলতে থাকেন, ‘‘শুধু যন্ত্রপাতি থাকলেই হবে না, ব্যবহার করার প্রশিক্ষণও দরকার। সরকারের কি সে ব্যপারে কোনও ভাবনা রয়েছে?’’ ফিরহাদ জানান, সে ব্যবস্থাও হচ্ছে। এর পরেই তাঁর টিপ্পনি, ‘‘৩৪ বছর অশোকবাবুরা ক্ষমতায় ছিলেন। সে সময়ে কিছু কাজ এগিয়ে রাখলে আজ মানুষের সুবিধা হত।’’
অধিবেশনের পরে দমকলমন্ত্রী বলেন, ‘‘আবেদনের ৩০ দিনের মধ্যে দমকলের ছাড়পত্র দিতে হবে এবং তা দফতরের ওয়েবসাইটে নথিবদ্ধ করতে হবে। ওই সময়ের মধ্যে না দেওয়া গেলে, কী কারণে লাইসেন্স দেওয়া যায়নি, তা-ও ওয়েবসাইটে জানাতে হবে। কোনও আধিকারিকের ইচ্ছের উপরে যাতে নির্ভর করতে না হয়, সে জন্য এই ব্যবস্থা।’’ বহুতল বা শপিং মল, অফিস বা বাজারের কোথায় কোথায় জলের সংযোগ, স্মোক ডিটেক্টর, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রয়েছে, তা প্রবেশদ্বারের কাছেই ম্যাপের মাধ্যমে চিহ্নিত করতে হবে বলে এ দিন মন্ত্রী জানান। এমনকি আপৎকালীন রাস্তা বা দরজা কোথায় রয়েছে, তা-ও ম্যাপে উল্লেখ রাখা বাধ্যতামূলক করছে দমকল দফতর। বহুতল আবাসনেও অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রপাতি ব্যবহারের নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখার আবেদন জানিয়েছেন মন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy