কুয়াশার চাদরে মোড়া জলপাইগুড়ি শহর। ছবি: সন্দীপ পাল
শহরে আবার পারদপতন! আরও কমল তাপমাত্রা। শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হল ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার কলকাতা শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক। সারা দিন ধরে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় বিশেষ হেরফের হবে না বলেও হাওয়া অফিস জানিয়েছে। আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। সপ্তাহের শেষে তাপমাত্রা আরও কমবে বলে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর।
কলকাতার পাশাপাশি জেলাগুলিতেও কনকনে ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো পশ্চিমের জেলাগুলিতেও ইতিমধ্যেই জাঁক দিতে শুরু করেছে শীত। জাঁকিয়ে শীত পড়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও। কলকাতার থেকে উত্তরের জেলাগুলিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রায় ২-৩ ডিগ্রি কম। জেলাগুলিতে ভোরবেলা থেকেই সাধারণ মানুষের আগুন পোহানোর ছবি দেখা যাচ্ছে। ডিসেম্বরের শেষে এসে শীতের আমেজ উপভোগ করতে শুরু করেছে বাঙালি। পাশাপাশি জমিয়ে ঠান্ডা পড়তেই বাঙালি হৃদয় ঘুরেছে নতুন গুড় এবং পিঠেপুলির দিকেও।
হাওয়া অফিস জানিয়েছিল, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত কেটে গিয়েছে। বাংলায় আবার ঢুকতে শুরু করেছে উত্তুরে হিমাল হাওয়া। যার ফলে ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে সারা বাংলাতে। ডিসেম্বর পড়ে গেলেও গত সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত ঠান্ডার লেশমাত্র ছিল না। সকালের দিকে একটু ঠান্ডা ঠান্ডা থাকলেও বেলা বাড়তেই গায়ে গরম কাপড় চাপিয়ে রাখা দায় হচ্ছিল। সেই পরিস্থিতি কাটতে খুশি বাঙালি। বাঙালির আলমারি থেকেও বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে মোটা লেপ-কম্বল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy