পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। — নিজস্ব চিত্র।
এসএসসি দুর্নীতি-কাণ্ডে ধৃত অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মামারবাড়ি হুগলির জাঙ্গিপাড়ায়। অর্পিতার মামারবাড়িতে গিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। এমনটাই দাবি জাঙ্গিপাড়ার দিলাকাশ গ্রাম পঞ্চায়েতের মথুরাবাটি গ্রামের বাসিন্দাদের। অর্পিতা ওই এলাকার বাসিন্দাদের উপর নানা ভাবে প্রভাব খাটানো বলেও অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দুর্গাপুজো উপলক্ষে পার্থ যে মথুরাবাটি গ্রামে গিয়েছিলেন তা মেনে নিয়েছেন অর্পিতার আত্মীয়রা। তবে অর্পিতা যে প্রভাব খাটিয়েছে তা পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন তাঁরা।
জাঙ্গিপাড়ার দিলাকাশ গ্রাম পঞ্চায়েতের মথুরাবাটি গ্রামে মামারবাড়ি অর্পিতার। সেখানকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, মন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর নানা ভাবে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করতেন অর্পিতা। মথুরাবাটির বাসিন্দা স্বপ্না চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘অর্পিতার সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ও বেশ কয়েক বার এসেছেন এখানে। ওর মামারবাড়ির দুর্গাপুজোয় এসেছেন। এখানকার পুকুরে বসে পার্থ চট্টোপাধ্যায় মাছও ধরেছেন। ওদের বাড়ির আত্মীয়দের সকলে সরকারি চাকরি করে। কই আমরা তো পাই না? সবটাই অর্পিতার সূত্রে পাওয়া। এখন ওরা দোতলা বাড়ি করেছে। গাড়িও আছে। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় এলে অনেক পুলিশ আসত। তখন আমাদেরই ভয় লাগত।’’
মথুরাবাটির আরও এক বাসিন্দা সোমনাথ চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘‘অর্পিতা এখানে প্রভাব খাটাতেন। সরকারি নলকূপ পর্যন্ত প্রভাব খাটিয়ে সরিয়ে দিয়েছিলেন। আমরা ভয়ে ভয়ে থাকতাম। কারণ ওঁর সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ও এখানে আসতেন।’’
অর্পিতার মামা তপন চক্রবর্তী অবসরপ্রাপ্ত। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের এই অভিযোগ শুনে অর্পিতার মামিমা বীণা চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘এলাকার কিছু লোকজন আমাদের অনেক জায়গাজমি দখল করে নিচ্ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের যাঁরা নানা অভিযোগ করছেন তা নিজেদের জ্বালা থেকেই বলছেন। এখন অনেকে অনেক কিছু বলবেন। এগুলি পুরোপুরি ভিত্তিহীন।’’ বীণা আরও বলছেন, ‘‘অর্পিতার সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় বার দুয়েক এসেছিলেন এখানে। আমার বাড়িতে কেবলমাত্র আমার বড় ছেলেই সরকারি চাকরি করে। যে বাড়ির কথা এলাকার লোকজন বলছেন, তা অর্পিতার মা মিনতি চক্রবর্তী সংস্কার করেছেন। শহরের কেউ এসে এখানকার পুকুরে মাছ ধরতেই পারেন। তবে ওই পুকুর আমাদের নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy