আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তার কিঞ্জল নন্দ (বাঁ দিকে, সাদা জামা) এবং দেবাশিস হালদার (ডান দিকে, চেক জামা)। —ফাইল চিত্র।
দু’মাসেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত। নির্যাতিতার বিচার, হাসপাতালে নিরাপত্তা এবং পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। মিছিল, সমাবেশ, দু’দফায় কর্মবিরতি, তার পর ‘আমরণ অনশন’। প্রতিটি ক্ষেত্রেই জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের পাশে থেকেছেন সিনিয়র ডাক্তারেরাও। এ বার দাবিদাওয়া পূরণের লক্ষ্যে আন্দোলনের রূপরেখা নির্ধারণেও সিনিয়রদের সঙ্গে চাইছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। বৃহস্পতিবারই সন্ধ্যা ৭টায় সিনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স’ ফ্রন্ট। অনলাইনে হবে ওই বৈঠক। তাতে আমন্ত্রণ জানিয়ে সিনিয়র ডাক্তারদের ইতিমধ্যে একটি ইমেল পাঠিয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের মিলিত মঞ্চ।
সিনিয়র ডাক্তারদের একাধিক সংগঠনকে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন, জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স, ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম-সহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের সংগঠনকেও ইমেল করা হয়েছে।
গত ৫ অক্টোবর থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের ‘আমরণ অনশন’ কর্মসূচি চলছে। ইতিমধ্যে একাধিক জুনিয়র ডাক্তার অনশন কর্মসূচিতে থাকাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে তাঁদের। সেই পরিস্থিতির কথাও সিনিয়রদের পাঠানো ইমেলে উল্লেখ করেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁরা লিখেছেন, “আমরা দেখছি সরকার আমাদের ১০ দফা দাবি পূরণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। এমন অবস্থায় তাই জরুরি ভিত্তিতে একটি অনলাইন বৈঠকের জন্য আপনাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।” আন্দোলনের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে কী কী যৌথ কর্মসূচি গ্রহণ করা যায়, তা নিয়ে আলোচনার জন্যই এই বৈঠক বলে জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা।
প্রসঙ্গত, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে শুরু থেকেই সমর্থন জানিয়ে এসেছেন সিনিয়র ডাক্তারেরা। জুনিয়রদের কর্মবিরতির সময়ে সিনিয়র ডাক্তারেরা অতিরিক্ত সময় কাজ করে রোগীর চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। পরে সিনিয়র ডাক্তারেরাই পরামর্শ দিয়েছিলেন কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফেরার জন্য। আন্দোলনের বিকল্প পথ বেছে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন তাঁরা। সাধারণ মানুষ যাতে আন্দোলন থেকে বিচ্ছিন্ন না হয়ে যায়, সে দিকেও নজর রাখতে বলেছিলেন। সিনিয়রদের পরামর্শ মতো কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। বিকল্প হিসাবে বেছে নেন ‘আমরণ অনশন’ কর্মসূচি।
গত মঙ্গলবার রানি রাসমণি রোডে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’-এর ডাকও সরাসরি জুনিয়র ডাক্তারেরা দেননি। ওই প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল সিনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স। গত দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে এ ভাবেই বিভিন্ন সময়ে জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে থেকেছেন সিনিয়রেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy